ইসমাইল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ ভালুকায় বন বিভাগে মহাটেনশন বৃক্ষরাজি উজাড় বন জমি অস্তিত্ব রক্ষার চেয়ে বেহাত হওয়ার ঘটনাই বেশী।
বন ভূমির অস্তিত্ব রক্ষার নাম করে বিভাগের অসাধু বন কর্মকর্তা কর্মচারি টাকার খেলায় মেতে উঠে।ফলে বন হয় উজাড় আর ভূমি বেহাত হয়।এ বিভাগের রন্দ্বে রন্দ্বে দুর্নীতি জরিয়ে রয়েছে এবং কর্মস্থল বন্টন ও পোষ্টিং হয় রাজনৈতিক বলয়ে। সব সরকার আমলে বন ভুমির আয়তন কমেছে–হচ্ছে বন বৃক্ষ উজাড়।
বন বিভাগে যারা এক সময় দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই জেল জুলুম ভোগে। যারা জেল জুলুম ভোগছে তাদের মধ্যে উল্লেখ্য এক সময়কার বন প্রধান ওসমান গনি-,মুন্সীআনোয়ারুল ইসলাম,সফিউল আলম চৌধুরী, আব্দুল লতিফ মিয়াসহ অনেকেই।তারা আওয়ামীলীগ- কিং বা-বিএনপি আমলে ঘুরে ফিরে তারাই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল।এ বিভাগের কর্মকর্তাদের অবৈধ আয়ের উৎস,বদলী-নিয়োগ বাণিজ্য-বন ভূমি প্রভাবশালীর হাতে সুকৌশলে তুলে দেয়া সহ নানান বিষয়। সেই ধারাহিকতা বন বিভাগে এখনো চলমান।তার নজির ভালুকা হবিবাড়ীর বনভূমি দখলের লক্ষ্যেএক প্রভাশালী জড়িত বলে তথ্য প্রকাশ। ভালুকা থেকে সংবাদ দাতা জানান,হবিরবাড়ী বন ভুমির গজারি গাছ কাটার পর কাটার চিহ্ন গুলো নিঃচিহ্ন করাতে বনে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছেন।
উক্ত ঘটনা কেন্দ্র দু রকম মন্তব্য বিরাজমান। স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা জানান আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক আব্দুর রশিদ নামের এক প্রভাশালী তার লোকজন দিয়ে গাছ কেটে বৃক্ষ উজাড় করে হবির বাড়ী মৌজা ৪৩৮ দাগের বনভূমি জবর দখলে মরিয়া। দাগের মধ্যে মোট জমির পরিমান ১১১ একর। তন্মধ্যে ৮৩ একর জমি বন বিভাগের গেজেট ভুক্ত এবং২৮ একর সরকারি খাস ও জণসাধারণের রেকর্ডি ভূমি। সুত্রে জানান আস পাডা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক আব্দুর রশিদ হবিরবাড়ী মৌজায় ৪৩ একর বন জমির উপর আদাল থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা এনেছেন। সে বলেই তার লোকজন জায়গায় পরিস্কার করার জন্য আগুনদিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ভালুকা রেঞ্জ কর্মকর্তা রইজ উদ্দিন বলে ৪ মার্চ ২০২৩ শনিবার দিবাগত মধ্য রাত আব্দুর রশিদ তার লোক দিয়ে যে গাছ গুলো কেটেছে,গাছ গুলো ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করেন তিনি। দাগ নং ৪১৩–৪৩৮সহ বিভিন্ন দাগের ৮৭ বিঘা জমি ঢাকার পলমল গার্মেন্টস নামের এক প্রতিষ্ঠান আব্দুর রশিদের কাছ থেকে২০১৫ সন জমি খরিদ করার তথ্য পাওয়া গেছে এবং সে জায়গায় থেকেই গাছ কাটা হয়েছে। পরিস্থিতি বলে মনে হয় রশিদের ইশারাতেই গাছ গুলো কেটেছে।
এদিকে বন বিভাগ আব্দুর রশিদের নাম জড়িত করে বন মামলার কার্য়ক্রম চলছে বলে জানান আশ্বস্ত করেন। মামলা কি সত্যি হবে- না অর্থ ক্ষমতার বলয়ের চাপে চুপসে যাবে এটাই এখন দেখার বিষয়? তবে এ রিপোর্ট লেখা পযর্ন্ত মামলা রেকর্ডের কোন খবর নেয়া সম্ভব হয়নি। উল্লেখিত ঘটনার পরি প্রেক্ষিতে জাতীয় দৈনিক সুর্যোদয়ের জেলা প্রতিনিধি,-উপজেলা প্রতিনিধি কে সঙ্গে নিয়ে সরে জমিনে গিয়ে তথ্য নিয়ে এ সংবাদ পরিবেশন করেন বলে জানান।