নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় জুবায়ের নামে ৭ বছরের দগ্ধ এক শিশু মারা গেছে। তার বাবা জুলহাসও মসজিদে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন এক শিশুর তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শিশুটির শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লার বাইতুছ সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজ শেষে মোনাজাত চলাকালে এসি বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিনসহ গুরুতর দগ্ধ ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীর ৮০ থেকে শতভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি বাকি সবারই অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের সবারই শ্বাসনালি দগ্ধ হয়েছে। এদেরকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে।
নিহত শিশু জুবায়েরকে শনাক্ত করেছেন তার চাচা নাহিদ হাছান। একই ঘটনায় তার বাবা জুলহাস দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
শিশুটির মা রহিমা বেগম জানান, তাদের বাসা পশ্চিম তল্লায়। জুবায়েরের বাবা জুলহাস স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
রহিমা বেগম বলেন, জুবায়ের এলাকার মডেল একাডেমির প্লেতে পড়ত। প্রতিদিনের মতো আজকেও সে বাবার সাথে ঈশার নামাজ পড়তে মসজিদে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান তিনি। তবে সেখানে না পেয়ে পরে বার্ণ ইনস্টিটিউটে গিয়ে তাদের সন্ধান পান।
সূত্র জানায়, বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি দগ্ধ মুসল্লিরা হলেন- মসজিদের ইমাম আব্দুল মালেক (৬০), মোয়াজ্জেম দেলোয়ার হোসেন (৪৮), মো. আজিজ (৪০) নিজাম উদ্দিন (৪০), স্থানীয় সাংবাদিক নাদিম আহমেদ (৪৫) হুমায়ুন কবির (৭০), ইব্রাহিম (৪২) জুলহাস (৩০) ইমান হোসেন (৩০), আব্দুস সাত্তার (৩০) আমজাদ (৩৮), কাঞ্চন হাওলাদার (৪৯), জুনায়েদ (২৮) শেখ ফরিদ (২১), মো. ফরিদ (৫৫), মনির হোসেন (৩০), মোস্তফা কামাল (৩৫), রিফাত (১৮) মাইনুদ্দিন (১২), মো. রাশেদ (৩০), রাসেল (৩৪), নয়ন (২৭), আব্দুল বাসার মোল্লা (৫১), বাহার উদ্দিন (৫৫), শামীম হাসান (৪৫), জয়নাল (৫০), মো. আলী মাস্টার (৫৫), ছাব্বির (২১) মো. কেনান (২৪), মামুন (৩০), কুদ্দুস বেপারী (৭০), নজরুল ইসলাম (৫৫) সিফাত (১৮), জালাল (৪০) ইমরান (৩৫) সাহেদ (৪০) জুবায়ের (১৮)।