সুজন সারোয়ার , টঙ্গী : মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে অঘোষিত লকডাউনে গত ৪মাস ধরে অন্য পেশার লোকদের মতো দুর্বিসহ জীবন কাটছে পরিবহন শ্রমিকরা। কর্মহীন এসব পেশার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন জাতীয় সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ফেডারেশন (গভ: রেজি-২৭২৩) গাজীপুর জেলার শাখা আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল সিকদার সবুজ। ঢাকা ও গাজীপুরসহ প্রায় হাজার হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেন। আশরাফুল সিকদার সবুজ বলেন, বিগত চার মাস ধরে এই পেশার মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছে। কেউ তাদের খবর রাখেনি। আমার ক্ষুদ্র সামর্থ হয়ে গাজীপুর জেলার শাখা আঞ্চলিক কমিটির উদ্যোগে শত শত ট্রাক ও পিকআপ চালক এবং হাজারের বেশী অন্য প্রেশার মানুষদেও মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছি। এই পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারের বেশী পরিবারের মাঝে খাদ্য, ইফতার সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। এই কার্যক্রম মহামারী করোনা যতদিন থাকবে অব্যাহত থাকবে। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাদের এই জাতীয় সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ফেডারেশনকে কখনো সড়ক ও মহাসড়কে দায়িত্ব দেন, তাহলে আমাদের এই সংগঠন পরিবহন শ্রমিক ভাইদের পাশে থেকে যেকোনো সহযোগিতায় থাকবো ইনশাল্লাহ্। যখন পরিবহন সেক্টরে অভাবের দেখা দিয়েছে। ওই র্দুদেিন অধিকাংশ মালিক এবং শ্রমকি নেতারা তাদের মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রেখেছেন। শ্রমিকদের সাহায্য দেওয়াতো দূরে থাক, নেতাদের সাথে কথা বলার মত সেই সুযোগও মেলেনি পরিবহন শ্রমিকদের। পরিবহন শ্রমিক দৈনিক মজুরি বা ট্রিপভিত্তিক চাকরি করে থাকে। তাই তারা দৈনিক শ্রমিকের মতো দিনে আনে দিনে খায় । আয় রোজগার বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে তারা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এমতাবস্থায় মানবিক সাহায্য নিয়ে জাতীয় সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ফেডারেশন ঢাকার নেতাকর্মিরা গাজীপুর সহ সারাদেশে মটর শ্রমিক ভাইদের পাশে দারিয়েছে। তখন কোথায় ছিল ঢাকার ভিবিন্ন সংগঠন। কোথায় ছিল বড় বড় কথা। সড়ক থেকে ১ কোটি টাকার বেশি বৈধ-অবৈধ চাঁদা আদায় হয়। এ চাঁদা যেসব খাতে আদায় করা হয় তার মধ্যে আপদকালীন তহবিলে জমার নামেও শ্রমিকদের কাছ থেকে কিছু চাঁদার টাকা নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে আদায় করা এসব চাঁদার টাকা দেশের সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক মহামারি করোনায় লকডাউনে কর্মহীন শ্রমিক পরিবারদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। অথচ এই সেক্টরে মালিক ও শ্রমিক নেতাদের অনেকে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ার পাশাপাশি অনেকেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হয়েছে। অনেক শ্রমিক নেতারা অসংখ্য পরিবহনের মালিক হলেও শ্রমিকদের এই ভয়াবহ দুর্দিনে কাউকে অসহায় পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোশে তিনি আরো বলেন, জাতীয় সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ফেডারেশন উদ্যোগে মহামারী করোনায় হাজার হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছে। তখন বিভিন্ন সংগঠন আমাদেরকে নিয়ে হিংশে করেছেন। আসলে পরিবহন সেক্টরে শ্রমিক পাশে থাকবে, পরিবহন শ্রমিক নেতারা। বিভিন্ন সংগঠন থেকে এসে দুই চারটি গাড়ির মালিক হয়ে পরিবহন নেতা হওয়া যায়না। সংগঠন কি তাহা মহামারী করোনায় পরিবহন শ্রমিক ভাইয়েরা দেখেছেন। জাতীয় সড়ক পরিবহন মটর শ্রমিক ফেডারেশন (গভ: রেজি-২৭২৩) একটি বৈধ সংগঠন। পিছন থেকে ঢিল না মেরে কাগজ কলমে আসেন আমরা প্রমাণ করে দিবে । এবং সংগঠন সমন্ধে না বোঝলে আসবেন আমরা শিখিয়ে দিবো। বিভিন্ন দেশ থেকে কমিটি আনা বন্ধ করেন। না হলে কপালে অনেক দু:খ আছে। মহাসড়কে থাকাতো দূরের কথা চাদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে।