প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২০, ২০২৫, ১১:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ অক্টোবর ২২, ২০২০, ১২:৪৭ এ.এম
মহেশখালীতে মায়ের লাশ দেখিয়ে দেওয়া শিশু জারা এখন চাচার হেফাজতে

ইঞ্জিনিয়ার হাফিজুর রহমান খান, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ আফরোজা হত্যাকাণ্ডের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী সৎ মায়ের লাশ দেখিয়ে দেওয়া ৪ বছরের শিশু জেরিন মেহেজাবিন জারাকে চাচা মাসুদ হাসান এহেসানের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল হাই জানান, জেরিন মেহজাবিন জারাকে তার সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উপস্থিতিতে লাশ উদ্ধারের তিনদিন পর ১৯ অক্টোবর তার চাচার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কালারমারছড়া ইউপির ১ নং ওয়ার্ড সদস্য লিয়াকত আলী, স্থানীয় সাংবাদিক ওচমান জাহাঙ্গীর , চৌকিদার নাজেম উদ্দিন নাজু্, গত ১৯ অক্টোবর দুপুর ১টায় মহেশখালী থানার ওসির রুমে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হাই এর উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জহির উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি রকিব হাসান বাপ্পীর মেয়ে জেরিন মেহেজাবিন জারা (৪) এর হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। গত ১৭অক্টোবর থেকে জারা পুলিশ হেফাজতে ছিল,আফরোজা হত্যার সে-ই এক মাত্র প্রত্যক্ষদর্শী । তার পিতা রাকিব হাসান বাপ্পি, তার ছোট মা আফরোজাকে কিভাবে মেরেছে,কিভাবে খুন করেছে,লাশ মাটিতে পূতেছে, সে প্রত্যক্ষদর্শী ছিল। তার তথ্যের ভিত্তিতে ১৭ অক্টোবর পুলিশ তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থা হতে আফরোজার লাশ উদ্ধার করতে পুলিশ সক্ষম হয়েছে। ১২ অক্টোবর থেকে গৃহবধু আফরোজার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলোনা।এইদিন থেকে স্বামী রাকিব হাসান বাপ্পীও নিরুদ্দেশ। সে পালিয়ে যাবার আগে তার আগের বউয়ের সন্তান জারা কে তার দাদীর কাছে পাঠিয়েছিল। পরে পুলিশ কৌশলে জারাকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দেয়া তথ্যমতে লাশের সন্ধান পান।
উল্লেখ্য, মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পুঁইছড়া গ্রামের ইছহাকের মেয়ে আফরোজার সাথে গত নয়মাস পূর্বে পার্শ্ববর্তী কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর নলবিলার আ’লীগ নেতা হাসান বশিরের ছেলে বদরখালী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রকিব হাসান বাপ্পির বিয়ে হয়। একাধিক বিয়ে করে সংসার ভাঙ্গা স্বামী বাপ্পির সাথে স্ত্রী আফরোজার পারিবারিক কলহ ছিল। বিয়ের পর থেকে আফরোজাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করত বলে আফরোজার ভাই মিজান জানান। এই নিয়ে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদে বিচারও হয়। পরে চেয়ারম্যানের জিম্মায় আফরোজা আবার স্বামীর সাথে সংসার করতে থাকেন। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর আফরোজাকে ব্যাপক মারধর করে বলে এলাকাবাসীদের অভিযোগ। এরপর থেকে স্বামী বাপ্পিও ছিল পলাতক। গত ১৭ অক্টোবর স্বামীর বাড়ির উঠোনে মাটির নিচে পুঁতে রাখা থেকে গৃহবধূ আফরোজার লাশ উদ্ধার করা হয়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy