হাজী মোক্তার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর ২০২১ | প্রিন্ট
মেঘনায় সারি সারি ট্রলার-নৌকা। ১০ দিন আগেও এসব নৌযানে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত ছিলেন জেলেরা। তবে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন নদীতে নামতে মানা থাকায় ঘাটেই রয়েছে নোঙর করা। জেলেরা কাটাচ্ছেন অলস সময়। নিষিদ্ধ এ সময়ে জেলেদের ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পাননি কেউ। প্রায় ১০ দিন পার হলেও একমুঠো চাল পাননি তারা। ফলে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন জেলেরা।
মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। তবে এ সময়ে জেলেদের প্রণোদনা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা রয়েছে। অথচ ১০ দিন পার হয়ে গেলেও কেউ চাল না পাওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মাছ ধরা থেকে বিরত থাকা ৩৯ হাজার জেলে। নিষেধাজ্ঞা জারির আগেই এসব প্রণোদনা দেওয়ার দাবি তাদের।
অলস সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা
জেলেরা জানান, নদীতে মাছ শিকার করাই তাদের পেশা। কোনো কাজ জানা না থাকায় নিষিদ্ধ সময়ে অন্য পেশাও যেতে পারেন না। এতে সব ধরনের আয় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ঋণ করে সংসার চালাতে হয়। অনেকে খাবার জোগাতেও হিমশিম খান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছ ধরা বন্ধ থাকায় অনেকেই দোকানে আড্ডা দিয়ে অলস সময় পার করছেন। আবার কেউ জাল বুনছেন। এ জেলায় বেসরকারি হিসেবে ৫৫ হাজার জেলে রয়েছেন। তবে নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ৩৮ হাজার ৭৩৬ জন।
জাল বুনছেন জেলেরা
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৮শ’ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক এ বরাদ্দ দেবেন বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy