1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও বিকাশে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর 
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও বিকাশে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর 

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৩.৩৩ পিএম
  • ২১৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক  :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বিশ্বে বিদ্যমান সব ভাষা সংরক্ষণের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি সারাবিশ্বে বিদ্যমান সব ভাষাকে সংরক্ষণ, এর উপর গবেষণা করা এবং এগুলোর ইতিহাস জানা এই ইনস্টিটিউটের দায়িত্ব ।”

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অপরাহ্নে ‘অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই বিশ্বের বিপন্ন ভাষাগুলো এখানে সংরক্ষণ এবং তারওপর গবেষণা করা হোক। এই গবেষণার ওপরই আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ভাষা সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অনেক অবদান রাখতে পারে। এখানে যে কেউ যে কোন ভাষা শিখতে চাইলেও আসতে পারবেন। ভাষার ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।

পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর বাংলা ভাষাকে হিন্দুর ভাষা আর উর্দ্দুকে মুসলমানের ভাষা হিসেবে আখ্যায়িত করে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার মত মন মানসিকতার অধিকারিদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এধরনের মানসিক দৈন্যতায় যারা ভোগেন তাদের জন্যই ভাষার ইতিহাস ও উৎপত্তি স্থল জানা একান্তভাবে দরকার।

এ পর্যন্ত আন্তজাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট বিশ্বের ১৬টি ভাষায় বহুভাষি পকেট অভিধান করার ব্যবস্থা নিয়েছে। পাশাপাশি মাতৃভাষা পিডিয়া তৈরির প্রকল্প গ্রহণ এবং ভাষা-সাহিত্যকর্ম, বাংলা অনুবাদ ও বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলন শীর্ষক একটি প্রামান্য চিত্র বিভিন্ন ভাষায় করার উদ্যোগ নেয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শেখ হাসিনা ভাষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হাতে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদক’ এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা আন্তর্জাতিক পদক’ তুলে দেন।

হাবিবুর রহমান ও রঞ্জিত সিংহকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও উন্নয়নে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মহেন্দ্র কুমার মিশ্র ও মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অফ ওয়ার্ল্ড সোসাইটি, ভ্যাঙ্কুভার, কানাডা আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। সোসাইটির পক্ষে এর সভাপতি মো, আমিনুল ইসলাম পদক গ্রহণ করেন।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ সুসান মারি ভাইজ।

রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. পবিত্র সরকার ‘বহুভাষিক বিশ্বে বহুভাষিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা’র ওপর আলোকপাত করে একটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন’ শীর্ষক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এর আগে জাতীয় সঙ্গীত এবং অমর একুশের সঙ্গীত- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি,’ পরিবেশিত হয়।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, জাপান, চীন, রাশিয়া ও ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের শিশুরা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের নিজস্ব মাতৃভাষায় শুভেচ্ছা জানায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে গবেষণার জন্য ফেলোশিপ দেয়ার ব্যবস্থা করা দরকার এবং সেজন্য ফান্ড লাগলে আমি তার ব্যবস্থা করে দেব। কারণ আমি সবসময় গবেষণায় বেশি জোর দেই। গবেষণা ছাড়া কোন বিষয়েই উৎকষর্তা সাধন করা যায় না।

তিনি বলেন, আজ আমরা খাদ্যে যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি তা গবেষণারই ফসল এবং ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ একুশ বছর পর আবার সরকার গঠন করেই গবেষণায় গুরুত্ব আরোপ করে এবং বরাদ্দ দেয়। প্রথমে ১২ কোটি টাকা এবং পরবর্তী বাজেটে ১শ’ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি এ সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যখাতে অধিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।

যে সব এলাকায় স্কুল নাই তাঁর সরকার সেসব এলাকায় স্কুল, প্রতিটি উপজেলায় সরকারি কলেজ এবং প্রতিটি জেলায় বিষয় ভিত্তিক বহুমুখি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশের প্রথম মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ও আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। কৃষি বিশ^বিদ্যালয় একটি থেকে আরো কয়েকটি করে দেয়া হয়েছে। কোন অঞ্চলে কি ধরনের মানুষ জন এবং তাদের কি ধরনের শিক্ষার দরকার তার ওপর ভিত্তি করেই আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা এবং গবেষণার ওপর জোর দিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অনেক দেশের অনেক ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক যে ইংরেজি ভাষাটা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এমনভাবে চলে গেছে যে শিক্ষা-দীক্ষা সহ সবকিছুতে এই ভাষাই পরস্পরের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে গিয়েছে। কিন্ত সেই সাথে নিজের ভাষা শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনেকরি। নিজের ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অন্য যেকোন একটি বা দুটি ভাষা আমাদের ছেলেমেয়েরা শিখতে পারে। আর এখন ডিজিটাল যুগে ডিজিটালি ও শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।

২০০১ সালে তৎকালিন জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানকে সঙ্গে নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করে নির্মাণ কাজ শুরু করলেও পরবর্তী বিএনপি-জামাত সরকার সেই কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে আবারো সরকারে এসে নিজের মনের মত করে ইনস্টিটিউটটি গড়ে তোলেন বলেও জানান তিনি।

বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে মা ডাকার অধিকার পেয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সংস্কৃতির ওপর অনেক আঘাত আনা হয়। আমাদের ভাষা পাল্টে দিয়ে অন্য ভাষা তুলে ধরা হয়। তখন আজকের এই দিনে বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে মা ডাকার অধিকার পেয়েছিল।

ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের কাজের সুবিধার জন্য আমরা ৯টি ভাষার একটি অ্যাপ করেছি। ডিজিটাল সিস্টেমে যে কেউ যেন ভাষা শিখতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

শিশুরা তাড়াতাড়ি ভাষা শিখতে পারে। তারা একসঙ্গে দুই-তিনটা ভাষা দ্রুত শিখে নেয়। তবে কোনটা ধারণ করবে সেটা আসে পরে। মাতৃভাষায় শিক্ষা হলে সবকিছু জানা, বোঝা ও উপলব্ধি প্রকাশ করার উপকার অনেক বেশি।

এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের যুগ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা এর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারছে। আমরা তাদের লার্নিং এবং আর্নিংয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা এখন একেবারে ইউনিয়নে বসে বিদেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews