মাদ্রাসা ছাত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করছেন চাচা
জুয়েল খাঁন(সিলেট প্রতিনিধি)
Facebook Twitter share
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মাদ্রাসা ছাত্রীকে স্বাসরোধে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন ঘাতক চাচা রবিউল ইসলাম (৪০) শুক্রবার র্যাব-৯ এর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ে সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
Surjodoy.com
র্যাব জানায়,উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও গ্রামের সয়ফুল ইসলামের চার ভাইয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ভাই লুৎফুর রহমান যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। তিনি নিঃসন্তান হওয়ায় বড় ভাই সয়ফুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা বেগম (১৬)কে নিজের মেয়ের মতো স্নেহ মমতা করে সংসারের ভরন পোষণের টাকা তার কাছে পাঠাতেন। বিষয়টি সয্য করতে পারতেন না ছোট ভাই ঘাতক রবিউল ইসলাম।
The Daily surjodoy
কিছু দিন আগে এসব বিষয় নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে স্ত্রী ও তিন মাসের মেয়ে সন্তানকে নিয়ে রবিউল শ্বশুর বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার তিনি একা বাড়ি ফিরে এসে রাতের খাবার খেয়ে ভাতিজি সানজিদার শয়নকক্ষের পাশে ঘুমান।রাত চারটার দিকে তার কক্ষে ঢুকে গলা টিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে মুখে একটি বালিস রেখে পালিয়ে যান।
The Daily surjodoy
হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে রবিউল আরও জানান,লন্ডন প্রবাসী ভাই লুৎফুর রহমান তার ভাইয়ের মেয়ে সানজিদা বেগম কে খুব স্নেহ মমতা করতেন। তাকে হত্যা না করলে আমার মেয়ে লন্ডন প্রবাসী ভাইয়ের স্নেহ মমতা থেকে বঞ্চিত হবে তাই তাকে হত্যা করা হয়।
The Daily surjodoy
র্যাব-৯ এর উপ পরিচালক কোম্পানি অধিনায়ক লেঃ কর্মান্ডার সিঞ্চন আহমদ জানান, নবীগঞ্জ উপজেলার মোস্তাফাপুর গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে ঘাতক রবিউল ইসলাম কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে জগন্নাথপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
The Daily surjodoy
জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক রাজিব রহমান বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রী হত্যার ঘটনায় তার বড়ভাই আম্মাদ আহমেদ বাদী হয়ে চাচা রবিউল ইসলাম ও চাচী সুহি আক্তার কে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা মামলার অপর আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।