হাজী মোক্তার হোসেন নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাধ্যমিকে বার্ষিক পরীক্ষা শুরু ২৪ নভেম্বর
দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসায় মাধ্যমিকে (ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি) বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সব বিষয়ে নয়, তিন বিষয়ে হবে এই পরীক্ষা। আগামী ২৪ নভেম্বর শুরু হয়ে এই পরীক্ষা শেষ করতে হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
এ বিষয়ে আজ বুধবার নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মাউশি জানিয়েছে এবারের বার্ষিক পরীক্ষা হবে শুধু বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়ে। পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরের। সময় থাকবে দেড় ঘণ্টা। যেসব অধ্যায় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে, সেসব অধ্যায় এবং ১২ সেপ্টেম্বর থেকে যেসব অধ্যায়ের ওপর পাঠদান করানো হয়েছে, তা সিলেবাস হিসেবে বিবেচিত হবে।
মাউশি বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষার নম্বরবিন্যাসও করে দিয়েছে। এর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রের ৫০ নম্বরের মধ্যে লিখিত অংশে ৩৫ এবং বহু নির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) অংশে ১৫ নম্বর হবে। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের ৫০ নম্বরের মধ্যে প্রথম পত্রের ৩০ এবং দ্বিতীয়পত্রের ২০ নম্বর। সাধারণ গণিতের ৫০ নম্বরের মধ্যে লিখিত অংশে ৩৫ নম্বর এবং বহু নির্বাচনী প্রশ্নের (এমসিকিউ) অংশের নম্বর হবে ১৫।
মাউশি জানিয়েছে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সব বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে। বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরো ১০ নম্বর যোগ করা হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির থেকে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সঙ্গে বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে তাদের কর্মতৎপরতা যুক্ত করে এই ১০ নম্বর যোগ করা হবে।
অর্থাৎ মোট ১০০ নম্বরের (৫০ + ৪০ + ১০) ওপর প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ‘প্রগ্রেসিভ রিপোর্ট’ দেওয়া হবে। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এ পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।
করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয় সরকার। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলছে।