নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহকে কারিকুলাম পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের উদ্যোক্তরা অনেক ক্ষেত্রে বলে থাকেন তারা দক্ষ জনশক্তি পাচ্ছেন না। তাই বিদেশ থেকে দক্ষ লোকবল নিয়ে আসতে হয়। আবার চাকরিপ্রার্থীরা অনেক সময় বলে থাকেন তারা চাকরি পাচ্ছেন না। দুই পক্ষের মধ্যে গ্যাপ পূরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় সমুহকে উদ্যোগ নিতে হবে। ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা অনুযায়ী জনশক্তি তৈরি করতে হবে। এজন্য ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া লিংকেজ খুবই জরুরি।
আজ শনিবার বাংলাদেশ স্টিম (সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স) সোসাইটি আয়োজিত রেজিলিয়েন্স রিকভারি অফ ন্যাশনাল ইকনোমি থ্রু সাইন্স টেকনোলজি অ্যান্ড ইনোভেশন ডিউরিং পোস্ট কভিড ১৯ এ্যরা শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যামেস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর ড. আল-নকীব চৌধুরী সভাপতিত্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার বিভাগের প্রফেসর ড. আজিজুল মাওলার সঞ্চালনায় এই ওয়েবিনারে আরো সংযুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সত্য প্রসাদ মজুমদার, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের মনমথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. গোলাম এম. মাতবর, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সাইন্স ব্যাঙ্গালোরের প্রতিনিধি ড. সঞ্জীব কে শ্রীভাস্টাভা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ আহমেদ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিসি প্রফেসর ফায়েকুজ্জামান, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. লুৎফুল হাসান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফারজানা ইসলামসহ বাংলাদেশের প্রায় ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ। মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপমন্ত্রী আরো বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষাকে শুধুমাত্র মেধাবীদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। সকল শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে এসএসসি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে বিজ্ঞান শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ে সাইন্স, আর্টস, কমার্স নামে কোনো বিভাজন থাকবে না। উন্নত বিশ্বে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে একই ধারায় পড়াশোনা করতে হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা পছন্দের বিষয় অধ্যয়ন করে।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ অসংখ্য গ্রাজুয়েটস তৈরি করছে যাদের কোনো কারিগরি দক্ষতা নাই। ফলে অনেক গ্রাজুয়েটস এর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয় না এবং আমাদের বিপুল সংখ্যক জনশক্তি শ্রমবাজারের বাহিরে থেকে যায়। এই অবস্থা চলমান থাকলে আমরা ভিশন ২০৪১ এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করতে পারব না। পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হব না। এ সমস্ত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সরকার গ্রাজুয়েটস দের রিস্কিল করার চিন্তাভাবনা করছে। এজন্যেই কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।