অনলাইন ডেস্ক: ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তত ৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া করোনার উপসর্গ দেখা দিয়েছে শতাধিক কর্মীর। গত ১ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল গভর্নর ফজলে কবিরকে দেয়া চিঠিতে এই আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখ করেছে। ওই চিঠিতে তারা কর্মকর্তাদের দুই থেকে তিন ভাগ করে পালাক্রমে দায়িত্ব পালনের দাবি জানিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত দীর্ঘ সাধারণ ছুটি শেষে গত ৩১শে মে অফিস কার্যক্রম পুরো মাত্রায় চালু করা হয়েছে। লক্ষণীয় যে অফিস চালু হওয়ার পর অফিসের প্রধান ফটক, ভবনের ফটক, লিফট, করিডোরে মানবজট তৈরি হচ্ছে। স্টাফ বাসে গা ঘেঁষে বসে কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অফিসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। করোনা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসে করে যাতায়াতের দীর্ঘ সময় ভ্রমণে কর্মকর্তাদের সংক্রমণ–ঝুঁকি বাড়ছে। অনেক বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় সংখ্যক আসন চেম্বার না থাকায় একই কম্পিউটারে একাধিক কর্মকর্তাকে কাজ করতে হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে অফিসের কাজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক গুরুত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি করছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আরো অর্ধশতাধিক কর্মকর্তার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। যারা করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন, ফলাফল এখনো তাদের হাতে পৌঁছায়নি।
এ অবস্থায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই বা তিন ভাগ করে সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক ভিত্তিতে পালাক্রম করে দায়িত্ব পালনের দাবি জানিয়েছে অফিসার কাউন্সিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখনো পালাক্রমে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে বিভাগের প্রধানরা চাইলে যে কাউকে ছুটিতে রাখতে পারেন। তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন, কতজন কর্মকর্তা অফিস করবেন।