কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হালগাঁও গ্রামের লোকমান হোসেন তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘটনার পরপরই লোকমান আটক হয়, বর্তমানে সে কুমিল্লা কারাগারে। ঘাতক লোকমান ও তার স্ত্রীর রেখে যাওয়া বড় মেয়ে রিমির বয়স ৫ বছর ও ছোট ছেলে আরাফাতের বয়স ৯ মাস। মা-বাবাকে হারিয়ে শিশু দুটি এতিম হয়ে পড়ে। শিশু দুটি বর্তমানে চাচি আকলিমা আক্তারের হেফাজতে আছে। এতিম এ দুটি শিশুর পাশে দাঁড়ালেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
কুমিল্লা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার, বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক পিপিএম শিশু দুটির জন্য, জামা, জুতা, খেলনা, গুঁড়োদুধ, বিস্কুট, চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য নিয়ে শিশুটির বাড়িতে হাজির হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহান সরকার বলেন, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে জেলা পুলিশের পক্ষ হতে অসহায় শিশু দুটির জন্য উপহারসামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিয়ে এসেছি আগামী দিনগুলোতে শিশু দুটির পাশে থাকবে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
শিক্ষা, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সব বিষয়ে পুলিশ তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজুল বারি নয়ন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক, মোকাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুন্সি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস ছালামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পারিবারিক কলহর জের ধরে লোকমান হোসেন তার স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা করে।
Leave a Reply