মা-ছেলেকে হত্যা করতে ১১ গুলি চালান এএসআই
কামরুল হাসান মহানগর প্রতিনিধিঃ
| ১৩ জুন ২০২১ | ৫:৩০ অপরাহ্ণ
মা-ছেলেকে হত্যা করতে ১১ গুলি চালান এএসআই
FacebookTwitterShare
সাবেক স্ত্রী-সন্তান ও স্ত্রীর ছেলে বন্ধুকে হত্যা করতে ১১টি গুলি খরচ করেন এএসআই সৌমেন মিত্র। তাও আবার সবার সামনেই নিজের পিস্তল দিয়ে গুলি চালান তিনি। এতে একে একে নিভে যায় তিনটি প্রাণ। পরকীয়ার কারণেই তরতাজা এই তিনটি জীবন ঝরেছে বলে ধারণা করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
Surjodoy.com
রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকায় নাজ ম্যানশন মার্কেটের একটি বিকাশের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
The Daily surjodoy
নিহতরা হলেন- সৌমেনের সাবেক স্ত্রী আসমা, তার সাত বছরের ছেলে রবিন ও ছেলে বন্ধু শাকিল। তাদের সবার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামে। শাকিল একজন বিকাশকর্মী ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নাজ ম্যানশন মার্কেটে বিকাশের দোকানে বিকাশকর্মী ছেলে বন্ধু শাকিলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন আসমা। এ সময় আসমার সঙ্গে তার ছেলে রবিনও ছিল। হঠাৎ সেখানে হাজির হন আসমার সাবেক স্বামী এএসআই সৌমেন। মার্কেটের ভেতরে প্রথমেই শাকিল ও আসমার মাথায় গুলি চালান তিনি। এ সময় রক্ত দেখে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে রবিন। কিন্তু তাকেও ছাড়েননি সৌমেন। তেড়ে ধরে তার মাথায়ও গুলি চালান।
The Daily surjodoy
এসব দৃশ্য দেখে ইট-পাটকেল ছুড়ে সৌমেনকে থামানোর চেষ্টা করেন উপস্থিত লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। একপর্যায়ে ধরা দেন সৌমেন। পরে স্থানীয়রা তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
The Daily surjodoy
জানা গেছে, সৌমেন কুষ্টিয়ার হালশা ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের আসমার সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর আসমার সঙ্গে তার বিয়ে হয় বলে দাবি পুলিশের। পরে সৌমেন (বর্তমান পোস্টিং) খুলনার ফুলতলা থানায় বদলি হন। ফুলতলায় গেলে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আসমা। এরপর বর্তমান ছেলে বন্ধু বিকাশকর্মী শাকিলকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এতে ক্ষেপে যান সৌমেন। সেই ক্ষোভ থেকেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
The Daily surjodoy
এ ঘটনার পর ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। স্থানীয়রাও সেখানে ভিড় করছেন। তারা প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করে দোষীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
The Daily surjodoy
এ ব্যাপারে খুলনার এসপি মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, আটক সৌমেন রায় ফুলতলা থানার এএসআই। আজ সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তিনি ছুটি না নিয়ে আনঅফিশিয়ালি কুষ্টিয়ায় চলে গেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।