নাটকের গল্পে দেখা যাবে, ফাইজা ও জিসান বিয়ে করেছে। ঢাকায় তাদের ছোট্ট একটি সংসার। জিসান একটি প্রাইভেট কম্পানিতে চাকরি করে আর ফাইজা গৃহিনী। ফাইজা চায় তার ভালোবাসার মানুষকে প্রতিটি মুহূর্ত ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে। প্রণয় থেকে পরিণয়-অল্প সময়ের সংসারটা বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।
সদ্য বিবাহিত স্বামী-স্ত্রীর জীবনের মজার সব খুনসুটি যখন চলছিল তখনই একটি সুখবর তাদের দরজায় কড়া নাড়ে। প্রেগন্যান্সি টেস্টে ধরা পড়ে ফাইজা মা হতে যাচ্ছে। ঠিক সেই সময়টাতে জিসান অফিসে। কিন্তু ফাইজা মনে হয় জীবনে কখনো এতোটা খুশি হয়নি। জিসান অফিস থেকে ফেরার আগেই ফাইজা তাদের বাচ্চা নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা শুরু করে দেয়।
জিসান অফিস থেকে ফেরার পরপরই ফাইজা অতি আগ্রহ নিয়ে তা জিসানকে জানায়। কিন্তু জিসানের মধ্যে ফাইজা তার আগ্রহ দেখতে পায় না। ফাইজাকে জানিয়ে দেয় বাচ্চা নিতে সে এখন প্রস্তুত না। এখন বাচ্চাটা নেয়া তাদের উচিত হবে না। ফাইজাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ফাইজার এক কথা সে বাচ্চা নিবে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে মোটামুটি ভালোই ঝামেলা শুরু হয়। এক কথায় মূহুর্তেই তাদের সুখের সংসার তাসের ঘরের মতো ভাঙনে রুপ নেয়। এরপরই ঘটতে থাকে নানা ঘটনা- এমনই গল্প নিয়েই এগিয়েছে ‘টেডি বিয়ার’ নামের নাটকের দৃশ্য।
সাদেক সাব্বিরের রচনায় নাটকটি নির্মাণ করেছেন তরুণ নাট্যনির্মাতা আতিফ আসলাম বাবলু। ‘টেডি বিয়ার’ নাটকটিতে প্রভা ও মনোজ কুমার ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন বাসার বাপ্পি, নয়ন খান, পাপিয়া ইসলামসহ অনেকে। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন জিয়াউল হক মামুন।
নির্মাতা সুত্রে জানা গেছে, আগামী কোরবানি ঈদে দেশের একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনে ‘টেডি বিয়ার নাটকটি প্রচার হবে।