ডেস্ক : রাশিয়ান এই মেয়েটার বয়স মোটে ১৪। গত ১৬ আগস্ট সে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। বাচ্চা মায়ের নাম দারিয়া দুসনিশিনিকোভা। মাত্র ১৩ বছর বয়সেই ইনস্টাগ্রামে সে জানিয়েছিল যে মা হতে চলেছে। আর তার বেবির বাবার নাম ইভান, যার বয়স মোটে ১০। যদিও রিপোর্ট বলছে ১০ বছরের শিশুটি মোটেই বাবা হতে পারে না। এতে তার সন্তানের বাবার পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, ১৪ বছরের কিশোরীকে সাইবেরিয়ার দিকে যেতে হয়েছিল, কারণ সে ডাক্তার খুঁজছিল যে তার প্রসবে সাহায্য করবে। বা যত্ন নেবে। ১৬ আগস্ট সে ইনস্টাগ্রামে জানায়, মেয়ের জন্ম দিয়েছে কিন্তু খুব কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। ইনস্টাগ্রামে দারিয়ার ফলোয়ারের সংখ্যা মোটে সাড়ে তিন লক্ষ। যদিও এখনও সদ্যোজাতোর ছবি সে প্রকাশ্যে আনেনি। চিকিৎসক তাকে এখন সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।
দারিয়া লিখেছে, ‘১৬ আগস্ট আমি সকাল ১০টায় মেয়ের জন্ম দিয়েছি। এখন খুব টায়ার্ড। পরে কথা বলছি’। যদিও এবছরের শুরুতেই সে তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিল, বয়ফ্রেন্ড ইভানই হল তার বাচ্চার বাবা।
কিন্তু ১০ বছরের একটি বাচ্চা বাবা হতে চলেছে এমন উদ্ভট দাবি মেনে নিতে পারেনি কেউই। এরপর দারিয়া জানায়, তার বাড়ির কাছেই ১৬ বছরের একটি ছেলে তাকে ধর্ষণ করেছিল। সেই ছেলেটিই তার সন্তানের বাবা। এরপর আবারও বলে ইভানের বাবা তাকে ধর্ষণ করেছিল, যার জেরে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই কথা কাউকে বলতে পারেনি। পুরো ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসল সত্যির দাবিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষা হবে তাও জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ বছর বয়স হলে সেখানকার নাগরিকেরা অভিভাবকত্ব নিতে পারেন। আর তাই সদ্যজাতোর কিশোরী মা দারিয়া লিখেছে, ইভান এখন আমার সঙ্গে থাকে না। মাঝেমধ্যে রাত্রে থাকতে আসে। তবে ওর ১৬ বছর বয়স হলে পিতৃত্বের দায় নেবে কিনা আমি জানি না। যদি ততদিন পর্যন্ত আমাদের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে ও নিশ্চয় ভেবে দেখবে। সবই নির্ভর করছে সময়ের উপর।
শীর্ষনিউজ/এসএসআই