আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দিন যত যাচ্ছে, ততই জোরদার হচ্ছে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলন। দ্বিতীয় দিনের মতো রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সামরিক শাসনের প্রতিবাদ জানাতে দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নামেন হাজারো মানুষ।
সোমবারও (৮ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি ডাক দিয়েছেন সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী আন্দোলনকারীরা বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটিতে ২০০৭ সালে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্বে ‘জাফরান বিপ্লব’-এর পরে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) সবচেয়ে বড় গণবিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে মিয়ানমারে সংঘটিত সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো দেশটির হাজারো মানুষ গণবিক্ষোভ করছেন।বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নারী ও পুরুষ রয়েছেন। তাদের অনেকেই বয়সে তরুণ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নেটওয়ার্ক বন্ধ করায় বিক্ষোভকারীরা ভিপিএন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ আসার আহ্বান জানাচ্ছেন। সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে বেরিয়ে এসে গণবিক্ষোভ যোগদান করতে বলা হচ্ছে।
অবস্থান ও সময়টি পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন, নতুন প্রতিবাদ আন্দোলনের অন্যতম মুখ হিসাবে আবির্ভূত এই সাবেক ছাত্রনেতা।
বিক্ষোভকারীরা মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির ছবি নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তারা লাল রঙের পোশাক পরে আন্দোলন করছেন। সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পতাকার রং লাল।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ব্যানার বহন করতে দেখা গেছে। একটি ব্যানারে লেখা ছিল ‘ভোটারদের সম্মান কর’।
গত সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়। এই সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত এনএলডির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। একই দিন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে।
অভ্যুত্থানের দিন স্টেট কাউন্সেলর সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ এনএলডির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বন্দী করা হয়। এঘটনায় আটক করা হয়েছে আরও অনেককে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy