রাজধানীর ঢাকার মিরপুর ২ নম্বরে এম আর খান শিশু হাসপাতালের গলি এবং তৎসংলগ্ন পোস্ট অফিস, হার্টফাউন্ডেশনের ফুটপাতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মাসুমের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির সমাপ্তি ঘটে পাঁচ আগস্ট স্বৈরাচারের দেশত্যাগের মাধ্যদিয়ে। চাঁদাবাজরা কিছুদিন গা ঢাকা দিলেও নতুন পরিচয়ে আবারো ভয়ঙ্কর রূপে ফিরে এসেছে।
চাঁদা দিতে না চাইলে প্রথমে হুমকি পরবর্তীতে মারধরের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।বাধ্য হয়ে দিতে হচ্ছে চাঁদা ভয়ে আতঙ্কে অনেকেই মুখ না খুললেও কিছু কিছু ভুক্তভোগীরা জানায় শাহআলী বড়বাগের স্থানীয় বাড়িওয়ালার ছেলে একজন হিরু যুবলীগ কর্মী, তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ফুটপাতের হকাররা।হিরুর ভাই অন্যজন ১৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রদলের আহবায়ক হাসান তাদের সাঙ্গ পাঙ্গরা প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে।
গত ২৬/১২/২০২৪ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুটপাত দোকানি লাইজু আক্তার (৪৩) কে যুবলীগ কর্মী হিরুর নেতৃত্বে মারধর করা হয়েছে।একপর্যায়ে তার স্বামী আব্দুল হামিদ, স্ত্রীকে রক্ষা করতে গেলে তাকে মারধর করে হিরু সহ ১০/১২ জন তারপরেও গোডাউনে তুলে নিয়ে যাওয়া পর আবারও হামিদকে মারধর করেন। জরুরী সাহায্যে ৯৯৯ ফোন করলে মিরপুর থানার অফিসার এসে রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনেই উদ্ধার করেন এবং সেখান থেকে নিয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ইতিপূর্বে তাদের দোকান হিরু ও হাসানের দ্বারা ভাঙচুর হওয়ায় ভুক্তভোগী দম্পতি মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে চাইলে দায়িত্বরত (এস আই) শাহ্জালাল সন্ত্রাসীদের তোপের মুখে পড়েন এবং বাধ্য হয়ে থানায় ফিরে আসেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায় ছাত্রদলের ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ফয়সাল ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যের স্ত্রীর প্রত্যক্ষ মদদে হিরু ও হাসান এই চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে এমনকি মাদক ব্যবসাও করছেন।
সূত্র জানায় হিরু ও হাসান পূর্বে ধর্ষণ মামলার সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত।
অভিযোগ সুএে আর জানা যায় বিভিন্ন সময় হিরু চাঁদার জন্য কখনও মিজানকে কখনও সাগর নামের লোককে পাঠিয়ে চাঁদার টাকা নেওয়ার জন্য পাঠিয়ে টাকা না পাওয়ায় তারা চড়াও হয়ে এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগে পএে উল্লেখ করেন। অভিযোগ আরো বলেন বিশ হাজার টাকা এককালীন এবং প্রতিদিন ১০০টাকা না দিলে ফুটপাতে দোকান করতে পারবেন না। এছাড়া ও পোস্ট অফিসের সামনে ইকবাল নামের একজন ফুটপাতের ব্যবসায়ীর দোকান তুলে দিয়ে অন্য একটি দোকান বসানো হয়েছে।সেখানে দোকানটি ভাড়া হবে বলে লেখাও আছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুটপাতে দোকান বসিয়ে মোটা অংকের চাঁদাবাজি করছেন, শহিদ (৩০) যুবদলের কর্মি পরিচয় জুয়েল (৩২) পিতা আশরাফ আলী বড়বাগ গোয়ালবাড়ী,জুয়েল (৩৫) পিতা জালাল খান তারা পূর্বে যুবলীগ করতো খোলস পাল্টে এখন হয়েছে ক্যাডার হিরু- হাসান বাহীনির বর্তমান যুবদল নেতা। এছাড়া বড়বাগের কাওসার (৩০) মিজান (৩২) সাগর( ৩৩)আসলাম, জামাল, সালাম পূর্বে যুবলীগ করতো।হিরু ছিল যুবলীগের ক্যাডার বর্তমানে যুবদলের ক্যাডার হাসানের ভাই বলে জানিয়েছেন একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র।
অভিযোগের পর অভিযুক্ত হিরু গংদের বিষয়ে তদন্ত করতে আসা এস আই শাহজালালকে নির্দেশ দেন মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব গিয়াস উদ্দিন। এস আই শাহজালাল তদন্ত করতে এসে আসামীদের তোপের মুখে পড়লে অভিযোগকারীর সঙ্গে আসা কর্মচারী ঘটনার ভিডিও ধারণ করলে এস আই শাহজালাল তা ডিলেট করে দেন বলে জানান ফারজানা সুমি।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহজালাল সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে আপোষ হয়েছে, তদন্তের সময়ের ঘটনাটি ধারণ করা ঠিক নয় বলে ডিলিট করতে বলেছি।
এ বিষয় মিরপুর মডেল থানা ও সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন একজন অভিযোগকারী প্রতিবাদী নারী ফারজানা সুমি।