মিরপুরের গৃহায়নে মামাতো ফুফাতো দুই ভাইয়ের দৌরাত্ম,টাকার বিনিময়ে এমন কোন কাজ নাই যে তারা করে না ক্যাসিনো কান্ডে দুদকে অভিযোগ,রাজনৈতিক চাপে ধামাচাপা পড়েছে ফাইল
এস এম জীবন :
জাতীয় গৃহায়ণ কতৃপক্ষের বিভাগীয় অফিস মিরপুর গৃহায়ণ,আর এই গৃহায়ণে দুই কর্মকর্তা ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের জন্য জাতীয় গৃহায়ণ মিরপুর বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল রানা ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রাদিউজ্জামান রাজু ওরফে রাতুলকে গত ২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বরের দুূুদকের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত স্মারক-০০০১.০০০০৫.০২. ০১.১০১.১৯.২২৯৭৬ নোটিশের কার্যক্রম আজ অবধি অমিংমাংসিত রয়েছে। টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ।সুএ জানায় দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও কোন তদন্ত হয়নি শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান রাজুর অভিযোগের বিষয়ে।
এক সময়ের আলোচিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার চাচা,শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শেখ সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান সিন্ডিকেট এখন ও বহাল তবিয়তে মিরপুর গৃহায়নে কর্মরত। যায় যায় তারা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে দশ থেকে বার বছর একই জায়গায় কর্মরত আছে কয়েক দফায় বদলি হলেও একই স্থানে বহাল তবিয়তে আছেন এক অদৃশ্য শক্তিতে। সোহেল রানা ও রাদিউজ্জামান এর বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য এসেছে প্রতিবেদকের কাছে।এক সময়ের আলেচিত ক্যাসিনো দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হলেও রয়েছেন ধরা ছোয়ার বাইরে । তাদের সিন্ডিকেট রাজধানীর মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি,জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় গুলো ধামাচাপা দিয়ে অথবা কাগজে সংশোধন করে দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চক্র।
এই চক্রের সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ঘাটলে দেখা যায় তাদের বিলাস বহুল জীবন যাপনের নমুনা । মিরপুর সহ ঢাকা শহরে রয়েছে নামে ও বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ।একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইল টি ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বিগত সরকারের আমলে আমার এক আত্মীয়ের প্লটের ত্রুটি দেখিয়ে ২ কোটি টাকা নিয়েছেন।এরকম প্রতিদিনই কোন না কোন সমস্যা সমাধানের জন্য, তারা হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা ।
ক্যাসিনো দুর্নীতি সহ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে নোটিশ কারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক জনাব মামুনুর রশিদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কিছু জানেন না বলে জানান এবং পিকে হালদারের মামলা তিনি করেছেন বলে দম্ভ প্রকাশ করেন।পরবর্তীতে তিনি নিজে ফোন করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বলেন, বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে চাপা দেওয়া হয়েছে ।
পরে আবারো ফোন দিয়ে তিনি মূল ঘটনাটি খুলে বলেন । ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ফাইলটি গোপন রাখতে বাধ্য হয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন, মামলাটির নিষ্পত্তি হলে তারা লিখিত চিঠি পাবেন। দেখেন অভিযুক্তরা চিটি দেখাতে পারেন কিনা !
অভিযুক্ত শেখ সোহেল রানার কাছে ফোনে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
বিষয়টি ভিত্তিহীন।টাকা লেনদেন করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন । নোটিসের পরিবর্তে অফিস থেকে চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন থাকলেও আমি আপনাকে কেন দিব ?
অভিযুক্ত রাদিউজ্জামান রাজুর সঙ্গে কথা বললে তিনি,বিষয়টা ঐসময় মীমাংসা হয়ে গিয়েছে বলে জানান । টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করেন,
চিঠি পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন তিনি কোন চিঠি পাননি ।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy