যশোর প্রতিনিধি:
যশোরে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদে চাকরির মামলায় ৮ পুলিশ কনস্টেবলকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে আদালতে শনিবার এই চার্জশিট দাখিল করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আবু জাফর।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- যশোর সদরের ঘোপ গ্রামের সাইফুর রহমানের ছেলে রানা হাসান, সুড়া গ্রামের সাধন সিংহের ছেলে বিপদ সিংহ, কুমারেশ সিংহের ছেলে সুজল সিংহ, নরসিংহকাঠি গ্রামের অজিত কুমার বিশ্বাসের ছেলে অমিত কুমার বিশ্বাস, আন্দলপোতা গ্রামের বাশারত হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান, বাঘারপাড়ার সাইটখালি গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে বাপ্পী মাহমুদ, চৌগাছার জগন্নাথপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মনিরুজ্জামান ও গৌরীনাথপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে আলিম উদ্দিন।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পুলিশে কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর যশোর পুলিশ লাইন মাঠে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আসামিরা কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন। ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তাদের বিভিন্ন কর্মস্থলে যোগদান করানো হয়।
এরপর তাদের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যাচাই বাছাইয়ে ওই ৮ জনের দেয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর ওই ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন যশোর পুলিশ রিজার্ভ অফিসের আরওআই পরিদর্শক মশিউর রহমান।
এ মামলার তদন্ত শেষে মুক্তিযুদ্ধের সনদ জালিয়াতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত মনিরুজ্জামান ও আশিকুর রহমান বাদে সব আসামিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy