তাজ চৌধুরী, দিনাজপুর ব্যুরো
শীতের মৌসুমে দিনাজপুর জেলা সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসুস্থ বা খাদ্যভাবে ক্লান্ত শকুনদের সংগ্রহ করে বিশেষ যত্নে পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করা হচ্ছে। দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় সিংড়া জাতীয় উদ্যানে বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত অসুস্থ শকুনদের নিবির পরিচর্যার মাধ্যমে সুস্থ করে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে সময় অনুযায়ী প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবারও ২০টি শকুন অবমুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই বিষয়ে সিংড়া জাতীয় উদ্যানে শকুনের পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা বেলাল হোসেন বলেন, এবার ২০টি শকুনকে দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অসুস্থ অবস্থায় সংগ্রহ করা হয়। খাবার হিসেবে দৈনিক গড়ে ৬ কেজি বয়লার মুরগি দেওয়া হয়। তাদের খাবার পরিমান আরও বেশী করে দেওয়া যেতে পারলে তাড়াতাড়ি সুস্বাস্থ্য হতে পারতো কিন্তু বাজেটের স্বল্পতা আছে। এছাড়া নিয়মিত খাবার স্যালাইন, ভিটামিন, পানি ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। শীতের মৌসুমে শকুনগুলো এখানে আনা হয়। সিংড়া জাতীয় উদ্যানের বনবিট কর্মকর্তা হরিপদ দেব নাথ জানান, ৪ বৎসর ধরে বিলুপ্ত ও বিপন্ন প্রায় শকুন বাঁচাতে আইইউসিএন বাংলাদেশ ও দিনাজপুর বন বিভাগ যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে ভারতের হিমালয় পাদদেশ থেকে শকুন অতিথি পাখি হিসেবে এ দেশে আসে। এই কর্মসূচীর আওতায় ঠিকমত উড়তে না পারা এবং খাদ্যভাবে অসুস্থ শকুনদের উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বীরগঞ্জ সিংড়া জাতীয় উদ্যানে পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়। বিশেষ পরিচর্যার মাধ্যমে শকুনদের সুস্থ করে প্রতি বছর র্মাচ- এপ্রিল মাসে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো জানান, গত বছরে ১৩ টি শকুনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এবারও সংরক্ষনে থাকা ২০টি শকুনকে প্রকৃতিতে মাচ-এপ্রিল মাসে ছেড়ে দেওয়া হবে। শকুনদের ছেড়ে দেবার সময় প্রতিটির পায়ে আন্তর্জাতিক ভাবে একটি বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হয় যেন বহিঃবিশ্বে গেলে বুঝতে পারে এটি বাংলাদেশের পরিচর্যা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে এসেছে।