মোঃ ফিরোজ উদ্দিন, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামে মৃত ব্যক্তির চেক নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে কেএসআরএম এর এক ডিলারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম মোঃ কফিল উদ্দিন। তিনি কক্সবাজার চকরিয়া উপজেলার মৃত মোঃ জাকের আহমদ এর ছেলে। অভিযোগ আছে, মৃত মোঃ নেজামুল হকের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী শাহীন আক্তারকে টাকা উত্তোলন করে দেবার কথা বলে চেক নিয়ে পালিয়ে যান তিনি। যদিও তিনশ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে- চেক বুঝে পেয়েছেন মর্মে স্বাক্ষর রয়েছে কফিলের।
কফিল উদ্দিনের প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ করে শাহীন আক্তার জানান, তার স্বামী (নেজামুল হক মাসুম) কেএসআরএম কোম্পানী লিমিটেড এর বিক্রয় প্রতিনিধি ছিল। সেই সুবাদে মেসার্স মোর্শেদ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোর্শেদুল ইসলামের সাথে লোহা-রডের ব্যবসা করার নিমিত্তে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর ৮৩৪৮/২০১৯ নং নোটারী, রেজিস্ট্রেশন মূলে তার স্বামী অঙ্গীকারনামা চুক্তিপত্র সম্পাদন করে।অঙ্গীকারনামার একই দিনে কেএসআরএম এর বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে তার স্বামীর বরাবরে শুধুমাত্র জামানত হিসেবে নাম না লিখে ৫ লক্ষ টাকার দস্তখত পূর্বক একটি চেক মোর্শেদুল ইসলাম তার স্বামী মাসুমকে হস্তান্তর করেন। চেক নং-৫৫৯৯৯১১। চেকের মোন্ডায় তার স্বামী নেজামুল হক মাসুম ও মোরশেদুল ইসলামের বক্তব্য সহকারে দস্তখত আছে। কিন্তু ২০২১ সালের ৩০ শে জুন তার স্বামী মৃত্যুবরণ করে। মৃত্যুর কিছুদিন পর কফিল উদ্দিন নামের এক লোক তার সাথে দেখা করে তিনি নিজেকে কেএসআরএম এর ডিলার বলে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘তার স্বামী বরাবর কারো কোন চেক থাকলে কয়েক দিনের জন্য তাকে দিতে।’ এতে তিনি তাকে (মাসুমের স্ত্রী) টাকা উত্তোলন করে দিবেন অন্যথায় এক সপ্তাহ পর চেক ফেরত দিবেন। সরল বিশ্বাসে তিনি তাকে চেক প্রদান করেন। কিন্তু চেক ফেরত দেওয়ার বদলে কফিল উদ্দিন চেকটি ব্ল্যাকমেইলের কাজ ব্যবহার করছেন।
তার বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ পাওয়ার পর অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায়, খালি চেকটিতে নিজে নাম বসিয়ে মেসার্স মোর্শেদ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোর্শেদুল ইসলাম ও মালেক নামের দুই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে টাকা পাবে মর্মে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চকরিয়ায় মিথ্যা মামলা দায়ের করেন কফিল। পরে মোর্শেদুল ইসলামও চেলেঞ্জ করে একই আদালতে তার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেন। যার সিআর মামলা নং-১৪৮৯/২৩।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কফিল উদ্দিন বলেন, ‘চেকটি আমাকে মোর্শেদ দিয়েছে। আমার টাকা ফেরত না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি।’
তবে আমাদের অনুসন্ধানে কফিল উদ্দিনের কথায় সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাকে চেকটি মোর্শেদুল ইসলাম দেবার কথা বললেও তিনি চেকটি নিয়েছেন শাহীন আক্তার থেকে। যেখানে তিনি চেক বুঝিয়ে পেয়েছেন মর্মে স্বাক্ষরও করেছেন।