এম আর হাসান জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ
বাংলাদেশে ব্যয়বহুল প্রকল্প উড়াল রেল সড়কে মেট্রোরেলের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে গত ১২ ডিসেম্বর। আগামী ছয়মাস এই পরীক্ষামূলক চলমান থাকবে। এরই মধ্যে সপ্তমবারেরমত মেট্রোরেলের আরও একটি
চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর ২ টা ৫০ মিনিটে চালানটি নিয়ে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে থাইল্যান্ড
পতাকাবাহী জাহাজ “এসপিএম ব্যাংকক”। বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ও হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন এ তথ্য জানায়।
গত ১ ডিসেম্বের জাপানের কোবে বন্দর থেকে ছেড়ে আসা এই জাহাজে আটটি বগি ও চারটি ইঞ্জিন ছাড়াও মেট্রোরেলের আরও ৪৪ প্যাকেজের ৪৯০ মেট্রিক টনের সরাঞ্জমও এসেছে। বিকেল থেকেই এগুলো খালাস প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানান হারবার মাষ্টার।
বিদেশি জাহাজ ‘এম ভি এসপিএম ব্যাংকক’ এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যাবস্থাপক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আজ পর্যন্ত মোট সাতটি জাহাজে করে মেট্রোরেলের মোট ৬০ টি বগি মোংলা বন্দর এসেছে। আগামী মাসে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের আরও ৯০ টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে ছয়টি জাহাজে করে সর্বমোট ৪৮ টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়। এসব বগি সংযোজন হয়ে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক চালু হয়েছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। আগামী বছরের ডিসেম্বরে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী চলাচল করবে এই মেট্রোরেলে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতার প্রমান মিলেছে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘এর আগে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বন্দরের আউটাবার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ইনার বারের ড্রেজিং চলছে। নাব্য সংকট দূর হওয়ায় এখন বড় বড় জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারছে। সবমিলিয়ে এটা একটা প্রতিফলন যে মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে
এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মেট্রোরেলের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) সুত্র জানায়, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল-৬ নির্মিত হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে।
জানা যায়, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মোট ১৬ টি স্টেশন থাকবে।