মোঃ জুবাইর :
একসময়ের রাজপথ কাঁপানো নেতা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ঐতিহ্যবাহী বাকলিয়ার চৌধুরী পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ কায়েস চৌধুরীকে চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ-নির্বাচনে এমপি হিসেবে চায় এলাকাবাসী।
চট্টগ্রাম ৮ আসনে উপ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। গত রবিবার রাতে সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুর পর আসনটিতে কে পাচ্ছেন মনোনয়ন তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। চট্টগ্রাম মহানগরের কাছাকাছি হওয়ায় আসন নিয়ে অনেকের আগ্রহ আছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে প্রয়াত দুই সাংসদ পত্নীর পাশাপাশি রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের নামও শোনা যাচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত এ আসনে আওয়ামীলীগের কে মনোনয়ন পাচ্ছে তা জানতে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের এ আসনে মহানগর অংশে ৬৫ শতাংশ ভোটার আছে, বাকি ৩৫ শতাংশ ভোটার মাত্র বোয়ালখালীতে। তাই চান্দগাও থানারই অন্তর্গত বাকলিয়া একটি সুপরিচিত জনপদ। এই বাকলিয়ায় বসবাসকারীরা অত্র আসনের ভোটের মূল ফ্যাক্টর । এই বাকলিয়া এলাকার লোকজন সবাই চট্টগ্রাম শহরে স্থানীয় হিসেবে পরিচিত। পুরান ঢাকার অধিবাসীদের মতো তারা সবসময় স্থানীয় অধিবাসীদেরকে প্রার্থী হিসেবে পছন্দ করে। এমনই একজন প্রার্থীকে বাকলিয়াবাসী নৌকার কান্ডারী করতে চায়। যার জন্ম, কৈশোর, বেড়ে ওঠা সবই বাকলিয়ায়। এমন এক ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবারের সন্তান মোঃ কায়েস চৌধুরী এর নাম প্রথমেই চলে আসে। আশির দশকের শেষ প্রান্তে চট্টগ্রাম কলেজ শিবিরের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম কায়েস- মাহবুব। তাদেরকে বলা হতো মানিক জোড়৷ পরবর্তীতে শিবিরের সন্ত্রাসী হামলায় মাহাবুব নৃশংসভাবে নিহত হলে তৎকালীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আসিফ কামাল (লাভু) বর্তমান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির ছোট ভাই এর নির্দেশে সরকারি সিটি কলেজে চলে যায়। তারপরও বাকলিয়া আওয়ামী লীগের পুনর্গঠনে তার অবদান উল্লেখযোগ্য। প্রয়াত আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী থেকে শুরু করে আজম নাসির ও বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর নির্বাচনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
এছাড়া তিনি নিজে তরিকত ভিত্তিক ধর্মীয় সংগঠন মুনিরিয়া যুব তাবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই তরিকতের অনুসারীরা রাউজান, হাটহাজারী মহানগর ও বোয়ালখালী সহ প্রভৃতি এলাকায় সুদীর্ঘকাল থেকে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন। এসবের কারণে একাধিকবার জামাত-বিএনপির রোষানলে পরে বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়। বিশেষ করে রাউজানের সাকা চৌধুরী জোট সরকারের আমলে তাদের মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পায়তারা করে। এতসব জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেও তারা স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে অনড় ছিল৷ এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে নৌকার সমর্থনে আওয়ামী লীগের ভোট ছাড়াও সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের ভোট ব্যাংক তাদের দখলে৷ এখন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী গণতন্ত্রের মানস কন্যা শেখ হাসিনার হাতেই থাকল চট্টগ্রাম ৮ আসনের নৌকার কান্ডারী কে হবেন।