মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রেমিকের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া এক কিশোরীকে (১৫) জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রবিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা-বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে সোমবার (১৬ আগস্ট) প্রেমিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানায় মামলা করেছেন।

মামলার পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজু বৈদ্য (২৭) নামের এক যুবককে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজু উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা দিলিপ বৈদ্যের ছেলে। আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) তাকে আদালতের মাধ্যমে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের গড়েরবন্দ এলাকার কমর উদ্দিনের ছেলে জামিল আহমদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল খশির চাতল এলাকার ওই কিশোরীর।

গত রবিবার বিকেলে জামিল আহমদ কিশোরী প্রেমিকাকে নিয়ে বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের অহিদাবাদ চা-বাগানে ঘুরতে যান। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক সেলিম আহমদ তাদেরকে দেখতে পেয়ে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে কিশোরীকে ফেলে প্রেমিক জামিল পালিয়ে যান। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধরে রাজু বৈদ্যের কাছে নিয়ে যান। এরপর তারা অহিদাবাদ চা-বাগান এলাকার নির্জন স্থানে পালাক্রমে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরী পরিচিত এক ব্যক্তিকে ফোনে ঘটনাটি জানালে তিনি তাকে উদ্ধার করে শাহবাজপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যান।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, ভিকটিম কিশোরীর ভাই বিয়ানীবাজার থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ এক আসামিকে উত্তর শাহবাজপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। এতে সহায়তা করেছে শাহবাজপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।

বিয়ানীবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান বলেন, কিশোরীর ভাই প্রেমিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। পুলিশ রাজু বৈদ্য নামক এক আসামিকে বড়লেখা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিমকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।