হাবিবুর রহমান হবি
যশোরে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষীরা, তবে আশার চাইতে আশংকা বিরাজ করছে চাষীদের মাঝে, কেননা সময় মতো ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারলে পড়তে হবে মহা বিপদে বলে তাদের আশংকা। কেননা সামনে ধেয়ে আসছে বর্ষা, শতকরা ১০ ভাগ জমির ধান পাকলেও এখনও অনেক ধান পাঁকতে আরো দশ বারোদিন লেগে যাবে, এ সময়ের মধ্যে যদি বর্ষা বা ঝড় তুফান লেগে যায় তাহলে ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, ফলে সবার মাঝে অজানা আতংক বিরাজ করছে তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মৌসুমে আবাদের খরচ পুষিয়ে লাভের আশা করছেন চাষীরা।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, যশোর জেলায় এবার ১ লাখ ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যশোর আঞ্চলিক কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, সামনে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে চলতি মওসুমে এ অঞ্চলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হবে বলে আশা করছি। খাদ্য সংকট যাতে না হয় সে লক্ষ্যে বোরো চাষে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার, সার, সেচ ও উন্নতমানের বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংক কৃষকদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করেছে।
চলতি মৌসুমে যশোর কৃষি জোনের আওতায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৬ জেলায় ৩ লাখ ৮১ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। এছাড়া ঝিনাইদহ জেলায় ৯২হাজার ২০০ হেক্টর, মাগুরা জেলায় ৩৬ হাজার ৮০০ হেক্টর, কুষ্টিয়া জেলায় ৩৫ হাজার ১৩০ হেক্টর, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৩৬ হাজার ৭১০ হেক্টর এবং মেহেরপুর জেলায় ২০ হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।