
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোম্পানির নাম আছে, কারখানা নেই। উৎপাদন হয়, লাইসেন্স নেই। এমন একটি কোম্পানি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকায় গড়ে উঠেছে ‘জীবন পোল্টি এন্ড ফিস ফিড’ নামে লাইসেন্স বিহীন প্রাণি খাদ্যের কারখানা। বেড়ে চলেছে অবৈধ ফিড ব্যবসা যার ফলে স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছেন আমাদের দেশের সাধারন মানুষ।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আলাদীপুর বাজারের পাশে তৈরী হচ্ছে পোল্টি, ফিস ফিডসহ প্রাণি খাদ্য যার নেই কোনো সরকারি ও ফিআব নিবন্ধন। মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০ অমান্য করে অবৈধভাবে চলছে তাদের রমরমা বাণিজ্য।
অধিক মুনাফার আসায় তা বিভিন্ন বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে নিম্ন মানের ফিড ব্যাবসায়ীরা। কোথায় তৈরী হয় তা মানুষের অজানা, সু-কৌশলে কখনো বাড়িতে আবার কখনো নির্জন বাগানে। প্রতি সপ্তাহে স্থান পরির্বতন হয় এই কারখানার। প্রশাসনের নজর এড়াতে বর্তমানে এলাকার বাইরে থেকে তৈরী করে সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রে প্রকাশ পায়।
কারখানার নিয়ম অনুযায়ী পোল্টি খাবারে যে উপাদান থাকা প্রয়েজন তা হলো (ক্রুড প্রোটিন-১৯.১% ক্যালসিয়াম-১.২৫% মিথিওনিন-০.৩৫% বিপাকীয় শক্তি (সর্বনিম্ন)-৩০৫০ কিঃ ক্যালরী কেজি, ফসফরাস-০.৪০% লাইসিন-০.৯৫%) থাকতে হয়।
নিজস্ব ল্যাবরেটরীতে ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা থাকতে হয়, অথচ তার কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে নামধারি একটি কোম্পানি। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধন সনদ নাম্বারসহ বিএসটিআই এর অনুমোদন পত্র থাকতে হয়।
নামমাত্র সাইনবোর্ড, বস্তার গায়ে কোম্পানির নাম ঠিকানা ব্যবহার করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ ভাবে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
এসমস্ত ভেজাল পোল্টি ফিড, মৎস্য ফিডসহ গরু ছাগলের খাদ্যেও বস্তা প্রতি ১থেকে ১৫০টাকা কমে কিনে সাধারন মানুষসহ পোল্টি খামারীরা প্রতারনার শিকার হয়ে প্রতিনিয়ত ঠকছেন। দেশে যে সমস্ত লাইসেন্সধারী নিবন্ধনকৃত নামী-দামী কোম্পানি রয়েছে তাদের বস্তার গায়ে রিতিমত লাইসেন্স নাম্বার, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের নিবন্ধনের সনদ নাম্বারসহ বিএসটিআই এর লোগো দেওয়া রয়েছে সেই সাথে কোম্পানির নির্ধারিত মূল্য দেওয়া রয়েছে।
এসমস্ত ভেজাল নকল কোম্পানির কারনে বৈধ কোম্পানি গুলোর মান দিনদিন কমে যাচ্ছে। হঠাৎ আংগুল ফুলে কলা গাছ হয়ে রাতারাতি কোটিপতি হচ্ছে অবৈধ ফিড কারখানর মালিকরা। মোবাইলে কথা হয় এ কোম্পানির মালিক জামাল উদ্দিনের সাথে তিনি এবিষয়ে কিছুই বলতে চাননি, শুধু বলেছেন লাইসেন্স করার জন্য চেষ্টা করছেন।
এধরনের কোম্পানি সারা দেশে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে।এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা না নিলে বৈধ কোম্পানি গুলোর গুনগতমান হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে অচিরেই বলে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন।
অন্যদিকে পোল্টি খামারীরা প্রতারনার শিকার হয়ে জিম্মি বুনে যাবে এসমস্ত নকল ফিড কারখানার মালিকসহ অবৈধ ব্যবসায়ীদের কাছে। এধরনের নকল কারখানার প্রতি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নজর দেওয়া ও চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে ব্যাবস্থা গ্রহনে জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সাধারন মানুষ।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply