ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার যাত্রী বেসে খুন হওয়া অটোরিকশাচালক আরাফাত হাসানের খুনি অবশেষে গ্রেফতার ।
ছিনতাইকারীরা আরাফাতকে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামের জুরা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরাফাত নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের কাদৈর গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়িকান্দি গনিশাহর মাজার থেকে দুই যাত্রী নিয়ে আরাফাত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রতনপুরের দিকে যাচ্ছিল। পথে রতনপুরের খাগাতুয়া জোড়া ব্রিজে অটোরিকশাটি ওঠার পরই যাত্রীবেশী দুই ছিনতাইকারী পেছন থেকে চালক আরাফাতকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে আরাফাতের অটোরিকশা ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইহসানুল হাসান বলেন, যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা চালক আরাফাতকে পেছন থেকে আচমকা ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। আরাফাত তার মোবাইল ফোনে তার বাবা এন্তাজ আলীকে বলে, ‘আব্বা, আমি অহন খাগাত্তা (খাগাতুয়া) জোড়া ব্রিজের ওপরে আছি, আমারে বাঁচাও আব্বা, ছিনতাইকারীরা আমারে কুবাইয়া মাইরা ফালাইতাছে।
নিহতের বাবা এন্তাজ আলী বলেন, আমার দুটি যমজ ছেলে। এক ছেলে প্রবাসে রয়েছে, সেও প্রবাসে যাওয়ার জন্য গত কয়েক দিন আগে পাসপোর্ট করে এনেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
নবীনগর থানার ওসি (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে আরাফাত হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে।
হত্যাকারী একজনের বাড়ি নবীনগর উপজেলার রতনপুরে অপরজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী থানা আড়াইহাজারে নবীনগর থানার ওসি মাহবুব আলম বলেন, অটোরিকশাচালক আরাফাত হত্যা মামলা ২ জনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।