ডেস্ক: আফ্রিকান-আমেরিকানদের ওপর পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। শত শত দোকান ও পুলিশ স্টেশন ভাংচুরের পর মিনিয়াপোলিস ও সেন্ট পলে রাস্তায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
নিউইয়র্ক থেকে ফিনিক্স পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিক্ষোভকারীদের ‘খুনি গুণ্ডা’ আখ্যায়িত করে কঠোরভাবে দমনের হুমকি দিয়েছেন তিনি।-খবর ডন অনলাইনের
সোমবার সন্ধ্যায় শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতে ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার পর থেকেই মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মঙ্গলবার ও বুধবার মিনিয়াপোলিসে সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে।
ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ঠেকাতে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ শহরটিতে ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী মোতায়েন করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুসারে, বৃহস্পতিবার প্রতিবাদকারীদের ক্ষোভের আগুন দমাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুব বেশি তৎপর দেখা যায়নি।
বিক্ষোভকারীরা এদিন একটি গাড়ি এবং অন্তত তিনটি ভবনে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। টানা দ্বিতীয় রাতের মতো দোকানে লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে।
বুধবার রাতে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও অন্তত ১৬টি ভবনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
গভর্নর ওয়ালজ ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী মোতায়েনের আদেশে স্বাক্ষর করলেও বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল পুলিশের কার্যালয় কিংবা দিনব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ওই বাহিনীর সদস্যদের দেখা যায়নি।
জর্জ ফ্লয়েডকে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে কৃষ্ণাঙ্গ নেতারা ক্রমাগত ক্ষোভ প্রকাশ করে যাচ্ছেন। হাতকড়া পরানো অবস্থায় এক পুলিশ কর্মকর্তা হাঁটু দিয়ে তার ঘাড় পাঁচ মিনিটের বেশি সময় চেপে ধরলে তিনি মারা যান।
প্রখ্যাত কৃষ্ণাঙ্গ অধিকার কর্মী এল শার্পটন বলেন, লোকজন ক্ষুব্ধ। তারা হতাশ। কারণ এটাই প্রথম কোনো পুলিশি হত্যাযজ্ঞ না, এর আগেও এমনটা ঘটেছে।
রাস্তায় আরও সেনা নামিয়ে বিক্ষোভ দমনের আভাস দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, খুনি গুণ্ডারা জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতিকে অসম্মান করছে। আমি তা ঘটতে দিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালসের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তাকে বলেছি– সামরিক বাহিনী তাকে সব ধরনের সহায়তা করবে। যে কোনো কঠিন অবস্থা আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবো। যখন লুটপাট শুরু হবে, তখন গুলিও শুরু হবে।