ফিরোজ,বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অভ্যান্তরীন কোন্দলে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও সেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীকে হত্যার ঘটানায় কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে আওয়ামীলীগ থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগের একসভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। পাশাপাশি এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকু ও সাধারন সম্পাদক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুর মধ্যে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গত রবিবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন পিকুর আপন ভাই যুবলীগ নেতা রাকিব উদ্দিন রুমান ও চাচাতো ভাই ইশাত তালুকদাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে মহিউদ্দিন লাভলুর সমর্থকরা।
এ ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিলে স্থানীয় এমপি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসম ফিরোজ কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মোতালেব হাওলাদার বলেন, আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস জনতা ভবনে উপজেলা আওয়ামীলীগের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুর বিরুদ্ধে দলীয় বিশৃংখলার অভিযোগ ওঠে। তার কারনেই দলের দুই কর্মী খুন হয়, এমন অভিযোগ উত্থাপন হওয়ায় তাকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সাথে দুই কর্মী খুনের মূল কারণ উদঘাটন করার জন্য উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা নুর মোহাম্মদ হাওলাদারকে প্রধান করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিবে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন লাভলুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপর দিকে ওই কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মো. মনিরুল ইসলাম টিটু।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক চিফ হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম. ফিরোজ বলেন, সন্ত্রাস করে আওয়ামীলীগের অগ্রযাত্রাকে দুর্বল করা যাবে না। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের আপামর জনগণের দল। এই দলে সন্ত্রাসের কোন স্থান নেই। ঐক্যবদ্ধভাবে সন্ত্রাসকে রুখে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন। যারা দলের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করবেন তাদের স্থান কখনোই আওয়ামীলীগে৬ হবে না। যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসি কার্যক্রম করে এবং নানা অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তাদের বিরুদ্ধে দল উপযুক্ত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।