নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক (বহিষ্কৃত) কাজী আনিসুর রহমান আনিস ও তার স্ত্রী সুমি রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে, সেই মামলার প্রক্রিয়া হিসেবে তাদের আয়কর নথি জব্দ করেছে কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছরের ২৯ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ যুবলীগ নেতা আনিসুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আনিসের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ১২ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদের মালিক হওয়ার আর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়।
কাজী আনিসুর রহমান যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। তিনি যুবলীগ অফিসের পিয়ন থেকে কেন্দ্রীয় নেতা বনে যান। দুর্নীতি-মাদক-ক্যাসিনোবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে তিনি আড়ালে চলে যান। কাজী আনিস কেন্দ্রীয় যুবলীগ কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বেতন ছিল মাসে ৫ হাজার টাকা। ৭ বছর পর হয়ে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক। যুবলীগের সবশেষ কমিটিতে তাকে গুরুত্বপূর্ণ এ পদ দেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। ২০১২ সালে প্রথমে তাকে যুবলীগের উপদপ্তর সম্পাদক করা হয়। শীর্ষ নেতার আশীর্বাদ থাকায় ৬ মাস পর খালি থাকা দপ্তর সম্পাদক পদে পদোন্নতি পেয়ে যান আনিস।
চাঁদাবাজি, দরপত্র থেকে কমিশন ও যুবলীগের বিভিন্ন কমিটিতে পদবাণিজ্য করেই বিত্তবৈভব গড়ে তোলেন কাজী আনিস। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে