1. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  2. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
যেভাবে ব্যবসায়ী বন্ধুকে কেটে ৩ টুকরো আসামি রূপম-মনি
শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বৈদেশিক ঋণনির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে বাড়তি পরিশ্রমের  নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর  সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পদোন্নতি পেলেন মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী লক্ষ্মীপুরে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ বরুড়ায় বই ও কসমেটিক বিক্রেতাকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড,  স্বামী’র কারাদণ্ড বদলগাছীতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কাঠ মিস্ত্রিকে সহায়তা দিলেন সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী দেবীদ্বারে আনোয়ারাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের ফ্লাইওভারে গাড়িতে আগুন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে অস্থির চট্টগ্রামের মসলার বাজার বরগুনা উপজেলার হলদিয়া ও গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভেঙ্গে নতুন ৫ ইউনিয়ন করার দাবী এলাকাবাসীর রাউজানে বড় ভাইয়ের হাতে আপন ছোট ভাই খুন

যেভাবে ব্যবসায়ী বন্ধুকে কেটে ৩ টুকরো আসামি রূপম-মনি

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ জুন, ২০২০, ১২.২০ পিএম
  • ২৪০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকার জন্য ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে (২৬) হত্যা করে খণ্ডিত অংশ ঢাকার তিন জায়গায় রাখার আলোচিত ঘটনায় নিহতের বন্ধু চার্লস রূপম সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার রাতে গাবতলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘এতদিন সে বগুড়ায় পালিয়ে ছিল বলে জানিয়েছে। এখন সে বরিশালে যাওয়ার পরিকল্পনায় ছিল।’

এর আগে গত ১৮ জুন রূপমের স্ত্রী মনি সরকার ও শাশুড়ি রাশিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানতে পারে পুলিশ।

রূপমের বন্ধু হেলাল উদ্দিনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তিন টুকরো করে বস্তায় ভরে ঢাকার তিন জায়গায় ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা গত শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, আজমপুর মধ্যপাড়া মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের বিকাশ ও মোবাইল বিল পরিশোধের দোকান করতেন হেলাল, থাকতেন দক্ষিণখান এলাকায়। দুই বছর আগে বাংলা লিংকের সিম বিক্রি করার সময় তার পরিচয় হয়েছিল রূপমের সঙ্গে, রূপমও একই কাজ করতেন। সেই যোগাযোগ থেকে এক লাখ টাকা দামের একটি ফটোস্ট্যাট মেশিন কেনার পরিকল্পনা নিয়ে গত ১৪ জুন দুপুরে দক্ষিণখানের মোল্লারটেকে রুপমের বাসায় যান হেলাল। সেখানেই তিনি খুন হন।

‍পুলিশ উপ-কমিশনার মশিউর বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে মনি বলেছে, হেলাল বাসায় যাওয়ার পর তাকে চা খেতে দেওয়া হয়। কিন্তু চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় রূপম। চা খাওয়ার পর হেলাল অচেতন হয়ে পড়ে। তখন রূপম ও মনি হেলালকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ বাথরুমে নিয়ে যায়। চাকু ও বটি দিয়ে তিন টুকরা করে বস্তায় ভরে পরদিন সকালে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় রূপম।’

তিনি আরও বলেন, হেলালের কাছে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের অনেক টাকা রয়েছে এমন ধারণা থেকেই তাকে হত্যার কথা মনি স্বীকার করেছেন। কিন্তু হেলালকে হত্যার পর তার কাছে মাত্র ২৫৩ টাকা পান তারা। পরে তার বিকাশের মোবাইল ফোন থেকে কৌশলে ৪৩ হাজার টাকা তারা উঠিয়ে নেয়।

গোয়েন্দা কর্মকর্তা মশিউর বলেন, হেলালের দেহ কেটে তিন খণ্ড করেন রূপম-মনি দম্পতি। ১৫ জুন তার দুই অংশ দক্ষিণখান ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন দক্ষিণখানের একটি খালি প্লট থেকে উদ্ধার করা হয় হেলালের মাথা।

এ ঘটনায় ১৬ জুন হেলালের বড় ভাই মো. হোজায়াফা বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে হেলাল ছিলেন তৃতীয়। তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের নেছারাবাদের দইহাড়ি গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews