আজগর পাঠান, কালীগঞ্জ (গাজীপুর ) প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেছেন, যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য জায়গায় না থাকলে দেশ এগিয়ে যাবে না। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন যোগ্য নেত্রী হিসেবে দেশের যোগ্য স্থানে রয়েছেন। তাই তো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা একজন যোগ্য রাজনীতিবিদ ও মানবতার নেত্রী হিসেবে বিশে^র ৪ জন নেতার মধ্যে একজন হয়েছেন। তাঁর চিন্তা-চেতনা ও কাজকর্ম শুধু দেশের মানুষের কল্যাণে এবং দেশের উন্নয়নের জন্য। বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতীয় বীর শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার জামালপুর ডিগ্রী কলেজ মাঠে জামালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি এসব কথা বলেন। জামালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. নাজমুল হোসেন শেখের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জোনায়েত খন্দকারের পরিচালনায় স্মরণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জামালপুর ডিগ্রী কলেজের গভনিং বডির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. মাসুদুর রহমান, তাঁতীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এইচ.এম আবু বকর চৌধুরী, জামালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মাহাবুবুর রহমান ফারুক মাষ্টার, সাধারন সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন মোড়ল, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এসএম আলমগীর হোসেন, সাধারন সম্পাদক কাজী হারুন-অর-রশিদ টিপু। স্মরণ সভায় বাবার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, শহীদ ময়েজউদ্দিন একজন সরল মনের রাজনীতিবিদ ছিলেন। কিন্তু সারাবিশ^ তাকে একজন সমাজসেবক হিসেবে চিনতো। জীবনদশায় শহীদ ময়েজউদ্দিন সমাজের নারীদের কিভাবে আত্মনির্ভরশীল করা যায় সেই বিষয়ে তিনি ভাবতেন। কিভাবে সুস্থভাবে একজন গর্ভবতী মা তার সন্তানকে জন্ম দিতে পারেন সেই কথা ভেবে তিনি কালীগঞ্জে মাতৃসদন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে সেই সময় যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন শহীদ ময়েজউদ্দিন। দেশের ও দলের ক্রান্তিকালে শহীদ ময়েজউদ্দিন সাহসিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। শহীদ ময়েজউদ্দিন একজন সাহসী, মেধাবী ও সমাজসেবক হিসেবে তার কর্মের গুণে তিনি দেশ ও বর্হিবিশে^ প্রশংসা অর্জন করেছেন। আমার বাবা কালীগঞ্জের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে সারাজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি স্বপ্নে দেখতেন কালীগঞ্জ একদিন আধুনিক কালীগঞ্জে রূপান্তর হবে। বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়ণের জন্য এবং জনগণের সেবার করার জন্য হয়তো আল্লাহপাক আমাকে এমপি বানিয়েছেন। আমি যখন দিন-রাত কালীগঞ্জের উন্নয়নে এবং জনসাধারণের সেবায় কাজ করি, তখন মনে হয়ে বাবা আমাকে দেখছেন। তাই বাবার কথা মনে করে দেশ ও দলের জন্য বেশি বেশি কাজ করার চেষ্টা করছি। মনে হয় বাবা দেখছেন, আমার মেয়ে মানুষের কথা ভেবে কাজ করছেন, আমার স্বপ্ন পূরণ করতে দেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এমপি চুমকি বলেন, এক ধরনের নেতাকর্মীরা আছেন, যারা দলের পদ পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে উঠেন। জনগণের সেবা করার চিন্তা তাদের মাথায় থাকে না। নিজের আখের গোছানোই তাদের একমাত্র চিন্তা। এমন মন মানসিকতা থেকে নেতাকর্মীদের বের হয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সমাজ ও জনগণের সেবায় নিজেকে মনোনিবেশ করতে হবে। জনগণের খেদমতে ও জনগণের সেবায় কাজ করতে হবে। একমাত্র জনগণকে ভালোবেসে তাদের সেবায় কাজ করতে পারলেই রাজনীতিবিদ হওয়া যাবে।