1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
রংপুরের কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে নিরব সংশ্লিষ্ট প্রশাসন
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

রংপুরের কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে নিরব সংশ্লিষ্ট প্রশাসন

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩, ৬.৩৭ পিএম
  • ১৬৫ বার পঠিত

রংপুর জেলা প্রধান: 

কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজে, রংপুর প্রতিষ্ঠিত ১৯৮৯ সালে। প্রফেসর আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসাহাক ছিলেন তখনকার সময়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, ২০১২ সালে অবসরে যাওয়ার পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতির দায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারেনি ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে উক্ত প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বামীর প্রভাব খাটিয়ে ডাক বাংলোর কক্ষ নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নপত্র ফাঁস, নকল সাপ্লাই, ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণসহ প্রতিষ্ঠানের অর্থ েআত্মসাৎসহ অসংখ্য অভিযোগ থাকা স্বত্বেও বহাল তবিয়তে আছেন অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন। ইতিপূর্বে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা-কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সহকারী কৃষি শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে ১১ বছর এবং ব্যবস্থাপনা প্রভাষক, এলাহী ফারুক-কে ৬ বছর যাবৎ সাময়িক বরখাস্ত করে রাখেন, অদৃশ্য ক্ষমতার অধিকারী অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন। ব্যবস্থাপনা প্রভাষক এলাহী ফারুক সাংবাদিকদের বলেন, কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই সুনামের সাথে আমি আমার দায়িত্ব পালন করে আসছিলাম, ইতিপূর্বে আমাকে রিওয়ার্ড স্বরূপ কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন দেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য সুযোগ পর্যন্ত করে দিয়েছে। আমি এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সতের বছর সার্ভিস তথা শিক্ষকতা করে আসছিলাম, হঠাৎ করেই অধ্যক্ষের নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা না করার দায়ে তিনি ক্ষোভের বসবর্তী হয়ে ভিত্তিহীন এক অভিযোগের উপর আন্দাজ করে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। সেই সাময়িক বরখাস্ত’র জের ধরে অধ্যক্ষের স্বামী সচিব থাকা অবস্থায় অনৈতিক তদবিরের মাধ্যমে আমার এমপিও বাতিল করেন। আজ সাত বছর যাবৎ আমি পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। বারংবার জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেও কোন সুরাহা পাইনি, ইতিপূর্বে একজন জেলা প্রশাসক আমাকে ডেকে, অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন এর স্বামী আবুল কালাম আজাদ এর নগ্ন হস্তক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন এবং তিনি বলেন আমাদের ইচ্ছে থাকলেও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছি না। প্রভাষক এলাহী ফারুক আরও বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করা হলে বর্তমান অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন শতভাগ অবৈধ বলে বিবেচিত হবেন এবং সঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান আরও উন্নত হবে।

কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ রংপুরে কর্মরত প্রফেসর আব্দুর রউফ মন্ডল বলেন, বিগত সময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান মঞ্জুয়ারা পারভীনের অনিয়ম দুর্নীতি ও পরীক্ষা ছাড়াই নিয়োগের বিষয়ে রংপুর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। পরে সেই অভিযোগ ডিসি অফিসের নথি থেকে গায়েব হয়ে যায়! আমি অভিযোগ দিয়েছি জেলা প্রশাসকের নিকট অথচ সেই অভিযোগ তুলে এনে আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায় অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীনের অনিয়ম দুর্নীতির সহচর কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রাইমারি শাখার অংকনের শিক্ষক ডাব্লু ও তার স্ত্রী। তারা আমাকে বলেন, এসব বাদ দিতে, তা না হলে পরিণতি ভালো হবে না। তবে জেলা প্রশাসকের নিকট দায়েরকৃত অভিযোগের রিসিভ কপি আছে, আমি আবারও সেই অভিযোগটি দিবো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ, রংপুর-এ অনিয়ম দুর্নীতি এখন নীতি আদর্শে পরিণত হয়েছে, স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিকে বারংবার সংবাদ প্রকাশের পরেও টনক নড়েনি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন ও তার সহযোগীদের। তারা আরও বলেন, এতো অনিয়ম করেও বার বার পার পেয়ে যায়, কারণ তার স্বামী সাবেক সচিব হওয়ায় ইচ্ছে থাকলেও জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করতে পারছেন না। তাইতো একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা ঘটেই চলছে প্রতিষ্ঠানটিতে, তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২৩ পরিবার পরিকল্পনা FWV- (Family Welfare Visitor) পদে সারা দেশের ন্যায় কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজ রংপুর এ অনুষ্ঠিত হয় নিয়োগ পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় নিয়মবহির্ভূতভাবে সংগঠিত হবার কারণে, চতুর্থ তলা ৫০১নং রুম থেকে অতিরিক্ত ৭৪টি ওএমআর সীট উদ্ধার করা হলেও কোন প্রভাব পড়েনি দুষ্কর্ম্মে জড়িতদের উপর। এতো বড় রাষ্ট্রদ্রোহীতার মতো একটি অপরাধ অথচ খুব সহজেই ধামাচাপা দিয়ে ফেলেছে চক্রটি। এদের খুঁটির জোর অনেক তাইতো পরীক্ষা চলাকালীন সময় অত্র প্রতিষ্ঠানের পিয়ন জয়ন্ত নকল সরবরাহ করার সময় উপস্থিত পরীক্ষার্থীরা রংপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে অবগত করেন। বিষয়টি বিব্রতকর হলেও সত্যি যে, অজানা কারণে রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট সেই অপরাধী-কে আইনের আওতায় আনতে পারেনি!

অভিযুক্ত পিয়ন জয়ন্ত-এর নিকট নকল সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাদা আমি খুব সৎ মানুষ। দাদা দুধে ময়লা আছে কিন্তু আমার গায়ে ময়লা নেই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব আপনাদেরকে বলেছে। পরে তিনি অফিসে এসে রফাদফা করব নিউজ বন্ধ করার জন্য প্রতিবেদকে অনুরোধ করেন।

পরিবার পরিকল্পনা সহকারী পরিচালক মতিউর রহমান, বলেন পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে, তবে ওএমআর সীট জালিয়াতি ও নকল সরবরাহের বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবে, পরিবার পরিকল্পনা (পার) এর উপপরিচালক (প্রশাসন ইউনিট) আবু তাহের মো: সানাউল্লাহ নুরী। পরে ওএমআর সীট জালিয়াতি এবং নকল সরবরাহ করার বিষয় জানাতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে ওএমআর সীট অতিরিক্ত যাওয়ার কথা নয়। যদি এমন হয়ে তাহলে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে আমাদের কাছে একটি কপি পাঠালে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে, রংপুর জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, এ বিষয়ে আমাদের এডিসি শিক্ষা উনি ভালো বলতে পারবেন। আপনি কষ্ট করে আগামীকাল একটু আসেন এসে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে যাবেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুল মান্নান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে আমি খবর নিয়ে জানাচ্ছি। পরে তাকে অসংখ্যবার ফোন দিলেও তিনি প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফোন রিসিভ করেনি, এমনকি ফোনকল ব্যাক করেনি।

ওএমআর জালিয়াতি ও নকল সরবরাহের বিষয় জানতে, কালেক্টরেট স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন-কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেনি বলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী পর্বে থাকছে আরও বিস্তারিত।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews