রংপুরে গঙ্গাচড়ায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অনবতি হয়েছে। নিমা ল প্লাবিত হওয়াসহ পানির তীব্র ¯্রােতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানির তোড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার ২ ইউনিয়নের ৩ শতাধিক ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে একটি মাদ্রাসা। জানা যায়, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর তীব্র ¯্রােতে উপজেলার লহ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদহে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত ২ দিনে এ গ্রামের প্রায় ৩’শটি ঘর-বাড়ি, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে শংকরদহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা। ঘরবাড়ি ও মাদ্রাসা বাঁচাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে কাজ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। লহ্মীটারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল হাদী বলেন, তিস্তা নদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। নদীর তীব্র ¯্রােতে শংকরদহে ২ দিনে প্রায় ৩’শ টি ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধে কাজ করলেও এখানে কমপক্ষে ১৫ হাজার জিও ব্যাগ প্রয়োজন। তীব্র ¯্রােতে পানি বাড়তে থাকলে শেখ হাসিনা সেতু সংলগ্ন রংপুর-লালমনিরহাট সড়কটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার শংঙ্কা রয়েছে। নদী শাসন না হওয়ায় এবার তিস্তা আগ্রাসী রুপ নিলে লহ্মীটারীর কমপক্ষে ৫০ হাজার পরিবারের ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে নদীগর্ভে চলে যাবে। এদিকে গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চরচিলাখাল, মটুকপুর, বিনবিনার চরের প্রায় ২৫টি ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রাজু জানিয়েছেন। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, নদী ভাঙ্গন রোধে আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। আশাকরি ঘর-বাড়িসহ অবকাঠামোগুলো রক্ষা করা যাবে।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy