রেখা মনি,নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরের পীরগঞ্জের করতোয়া নদী অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং লুটপাট এখনো বন্ধ হয়নি।
উপজেলার ১৪ নং ইউনিয়নের ল্যাংড়ার ঘাট নামক স্থানে করতোয়া নদী পাড়ের ৩ গ্রামের বালু লুটেরা সমিতি করে এখন প্রতাপের সাথে বালু উত্তোলন করছেন ।
অদৃশ্য শক্তির বলে অবৈধভাবে উত্তোলনকৃত ভালো বিক্রি করে অনেকেই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন।
ড্রেজার ও শ্যালো মেশিন লাগিয়ে যন্ত্র তন্ত্র বালু তোলার কারণে শত শত কৃষক পরিবার তাদের আবাদি জমি ঘরবাড়ি করতোয়ার গর্ভে বিলীন হবার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কয়েক মাস আগে বালু উত্তোলন বন্ধে মাইকিং করার পর বালু লুটেরা সমিতি গঠন করে তাদের কার বার আরো দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।
ওই সময় বালু তুলতো ১৬ জন এখন সমিতি করে বালু তুলছেন ৩৩ জন।
বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের মাইকিং করা কে বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো হিসেবে অভিহিত করেছেন সচেতন এলাকাবাসী। করতোয়া নদী টি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ঘোড়াঘাট উপজেলার ধারে ঘেঁষে বহমান ।
উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের কুয়াতপুর হামিদপুর নামক স্থানে ল্যাংড়ার ঘাটতিতে বর্ষায় নৌকা জোড়া লাগিয়ে মানুষ পারাপার হয়।
ল্যাংড়ার ঘাটেই কুয়াতপুর ,হামিদপুর গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে রবিউল ,শফি মুন্সীর ছেলে আব্দুর রউফ ,খাজা মিয়ার ছেলে স্বপন
আব্দুল হাকিমের ছেলে সুজন ,সাইদুর রহমানের ছেলে সোলেমান
ইয়াকুব আলীর ছেলে বাবলু হোসেনের ছেলে মাহবুবুর রহমান নুরুজ্জামান মিয়ার ছেলে আশরাফুল ,
ইসলামের ছেলে জিয়াউর রহমান ও নজরুল ইসলাম হোসেনের ছেলে এমরান, আবু তাহেরের ছেলেশামীম,
পার কুয়াপুরের আব্দুল হাকিমের ছেলে আশরাফুল ইসলাম, জুমাই মিয়ার ছেলে আব্দুল জব্বার ,ওয়াজ আব্বাস আলীর ,
উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম মন্টু মিয়ার ছেলে রনি বাহার মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদের জামিল মিয়ার ছেলে মুর্শিদ আলী ঘাসি পুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে বাবু মিয়া
আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে শামসুল হক রফিকুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়ার ছেলে মিলন মিয়ার ছেলে রুবেল এবং আব্দুস ছাত্তারের ছেলে
মোখলেছার রহমান সহ সর্বমোট জন বালু লুটেরা সমিতি গঠন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে শত শত মাহেন্দ্র ট্রলিতে বিক্রি করেছেন প্রতিদিন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..