রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মিঠাপুকুরের খোড়াগাছ ইউনিয়নের রঙ্গাতি পাড়ায় সম্প্রতি (ভাইরাল হওয়া) মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের শিকার শামসুল হক ভুট্টো নামে এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। দীর্ঘ ২মাস ধরে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো গেলনা।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ,এর আগে গত ২২ মার্চ ২০২০ইং উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের রংগাতি পাড়ায় রাত ৩টায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শামসুল আলম ভুট্টো নামে ঐ ব্যক্তিকে আটক করে মধ্যযুগীয় কায়দায় পৈশাচিক নির্যাতন চালানো হয়েছিলো।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায় পূর্বের জের ধরে শামসুল আলম ভুট্টো কে আটক করে একই এলাকার শহিদুল ইসলাম এর পরিবার। প্রথমে তাকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন ও পরে হাত পিছনে বেঁধে ও পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করা হয়। ভুট্টোর চিৎকারে তার মা এগিয়ে আসলে তার নাকে মুখে এলোপাতাড়ি ঘুসি মারে শহিদুলের পরিবারের লোকজন। আরো জানা যায়- শহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম এর সঙ্গীয়বাহিনী ভাইরা রাজু ও তার স্ত্রী বেবি,মেয়ে শিরিনা, জামাই আনিসুল ও সাহাবুল সহ বেধড়ক মারপিট করে। ঘটনার ভিডিও করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয় সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক খন্দকার মিলন। পড়ে ভিডিওটি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক khandokar milon নামে আইডিতে পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়। সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিলন জানায়- তিনি তার শ্বশুড়বাড়িতে বেড়াতে আসলে হঠাৎ রাতে আত্মচিৎকারে শব্দ শুনে বাইরে বের হন। এতে এগিয়ে গিয়ে বাধা প্রদান করেন হামলাকারীরা কিন্তু তার বাধা অতিক্রম করেই বেধড়ক মারপিট করতে থাকে সন্ত্রাসী শহিদুলের বাহিনী।
ভুট্টোর মা আম্বিয়া বেগম জানায়- এলাকাবাসী ডাকে ও ছেলের চিৎকারে এগিয়ে গেলে তিনিও সন্ত্রাসী বাহিনী শহিদুল এর কাছে মারপিটের শিকার হন। তাদের এলোপাতাড়ি ঘুষিতে নাক ফেটে রক্ত বেরিয়ে যায়।
২৩ মার্চ সকালে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ পুলিশ ভূট্টকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন শহীদুল ইসলাম, বড় মেয়ে শিরিনা বেগম ও জামাতা আনিসুল ইসলাম।পরে থানার গেট থেকে ভাইরা রাজুকে আটক করা হয়। ঘটনায় ভুট্টোর ভাই দুলাল মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা রুজু করেন।
পরবর্তীতে আসামীরা সবাই আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন।