সুজন আহম্মেদ, রংপুর
আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখল করে প্রাচীর ও বাড়ি-ঘরের অবকাঠামো নির্মাণের প্রতিবাদে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক পরিবার।
শনিবার (১৮ মার্চ ) দুপুরে গঙ্গাচড়া প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় । এ সময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ফজলু মিয়া ওরফে নয়া মিয়া (৬২)।
এ সময় তিনি বলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর মৌজার জেএলনং ৩৩,আর এস খতিয়ান নং ১১৩,এসএ খতিয়ান নং ১৩৬, এসএ দাগ নং ২৯৭২ (বাস্ত)২৯৭৩, আরএস দাগ নং ৪৫১৪, জমি ১২ শতক (পশ্চিম) এসএ খতিয়ান নং ১৩৬,১৩৭ মোট ১৭৭ শতক জমি ছাহামে নালিশী সম্পত্তি পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ভোগ দখল করে আসছি। আমি দীর্ঘদিন থেকে ঢাকায় থেকে টাইলসের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। এ সুযোগে বড়বিল ইউনিয়নের বাগপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে আব্দুল মতিন সরকার, মৃত এছাব উদ্দিনের ছেলে ছেনার উদ্দিন (৬৬), আব্দুল মতিন সরকারের ছেলে মোঃ বাদশা মিয়া(৪৩) ৪। মোঃ সোহেল মিয়া (২৫), মিস্টার (২৮), ছেনার উদ্দিনের ছেলে লুলু মিয়া (৪৮), বুলু মিয়া (৩২) আমার ভোগ দখল কৃত জমি জোরপূর্বক জবর দখল করে।
বিষয়টি জানতে পেরে আমি জমি উদ্ধারের জন্য ২০০৮ সালে রংপুর আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। এমতাবস্থায় ওই জমিতে তারা পাকা বাড়ি করার জন্য অপচেষ্টা করেন। পরবর্তীতে আমি ওই জমির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রংপুর আদালতে আরও দুইটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং এম আর ১৭৮/২১, ১৪৪/১৪৫। এ মামলার রায় মহামান্য আদালত আমার পক্ষে দেয়।
তার পরেও বিবাদীগণ আদালতের আদেশ অমান্য করে ওই জমির উপর বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছে।
এঘটনায় আমি গঙ্গাচড়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রউফ ঘটনা স্থলে গিয়ে উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নানারকম হুমকি দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ফজলু মিয়া ওরফে নয়া মিয়া। বিষয়টি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..