রিয়াজুল হক সাগর
রংপুরের গঙ্গাচড়া খলেয়া ইউনিয়নের দিঘলটারী গ্রামে বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে অপহরন করে ধর্ষণের পরে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ করে প্রতিবন্ধীর মা রহিমা বেগম। প্রতিবন্ধীর মা রহিমা বেগম বলেন,গতো ১৬-০৭-২০২০ ইং তারিখ মঙ্গলবার আনুমানিক সন্ধা ৭.৩০ মিনিটে ৩ মাস পূর্বের ধর্ষণ মামলার আসামী রন্জু মিয়া(৩৫)পিতা জয়নাল হক,লালচাঁন পুর,খলেয়া,গঙ্গাচড়া রংপুর, আমার প্রতিবন্ধী নাবালক মেয়েকে ধস্তাধস্তি করে ও ধর্ষনের চেষ্টা করে,আমার মেয়ে আউ মাউ করে চিল্লাতে শুরু করলে গলা চিপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টা করে,পাশের বাসার মহিলা শুনতে ও বুঝতে পেরে সেসহ আমার সম্পর্কে এক মামা এসে আমার মেয়েকে বাচাঁয়,ও রন্জু মিয়া সিটকে পালিয়ে যায়। আমি আমাদের মামলার দায়ীত্বে থাকা গঙ্গাচড়া থানার এস আই কিবরিয়া স্যারকে বিষয়টি ফোন দিয়ে জানাই,কিবরিয়া স্যার বলে বিষয়টি আমি দেখছি কিন্তু এখনো কোন খোঁজ খবর নাই।আমি আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে ও পরিবার নিয়ে ভয় ভয় করে দিন পার করছি। গত ১৭.০৩.২০২০ ইং তারিখে বাক প্রতিবন্ধী শিশু নিলা মনি( ছদ্মনাম) কে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায়।প্রতিবেশী মোঃ মনতাজ মিয়া (৬০)ও মোছাঃ জোবেদা বেগম (৫০)সহ ৫ জন।রহিমা বেগম বলেন মেয়ে নিলা মনি( ছদ্মনাম)জন্মের পর থেকেই বাক প্রতিবন্ধী।এখন মেয়ের বয়স ১৬ বছর চলতেছে,সামী ও ছোট ছোট আরো দুই কন্যা সন্তান সহ বাসায় মোট ৫ পাঁচ জন বসবাস করেন। রহিমা বেগম বলেন (সম্পর্কে)আমার মামা মনতাজ মিয়া (৭০)ঐ দিন দুপুর ২ ঘটিকায় তার শালার বউকে আমার বাসায় নিয়ে এসে একসাথে আমার বাসায় ভাত খায়,ও আমার মেয়ের প্রতিবন্ধী ভাতা’র কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে জন্ম সনদ ও ছবি নিয়ে যায় জোবেদা বেগম।ঐ দিনেই বিকালে আমি সাংসারিক কাজে বাহিরে গেলে আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে একটি অটোতে ৫ জন মিলে নিয়ে যায়।আমি ১৮-০৩-২০২০ তারিখ পর্যন্ত অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে পাশের গ্রামের এক অটো চালকের মুখে শুনি আমার মেয়ের একটা অটোতে করে বেতগারীর দিকে নিয়ে যাওয়া দেখছে অটোতে ৫/৬ জন ছিলো,তারপর আমি গঙ্গাচড়া থানার খলেয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃসিরাজুল ইসলাম লাভলুর কাছে যাই,ও চেয়ারম্যানের কথা মতো গঙ্গাচড়া থানায় এজাহার দায়ের করি। চার দিন পরে জোবেদার বাসা পাগলাপীর থেকে আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে উদ্বার করে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ।এলাকা বাসী সুত্রে যানা যায় মনতাজ মিয়া প্রতিবন্ধী শিশুকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যায় ও ঢাকা থেকে ফিরে ঐদিন জোবেদার বাসায় আসে,সেখান থেকে মনতাজ কে গ্রেপ্তার করে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ।প্রতিবন্ধী শিশু থানায় সমাজ সেবা থেকে নিয়ে আসা অফিসারের সামনে প্রতিবন্ধী ভাষায় জবান বন্ধী দেয় যে তাকে এক মহিলাসহ পাঁচ জন মুখ চেপে বাসা থেকে তুলে নিয়ে রংপুরের শাপলা চত্তর হাজীপাড়া মামুন মিয়া(৪৫)পিতা মৃত আকবর হোসেন তার বাসায় নিয়ে যায়,সেখানে তাকে মামুনসহ ৩ জন ধর্ষণ করে ও ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারিয়ে ঐদিন মনতাজ মামুনসহ তিনজন তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়। রহিমা বেগম আরো বলেন আমার মেয়েকে যারা ধর্ষণ ও ক্ষত বিক্ষত করেছে সঠিক তদন্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দিলে তবে আমরা শান্তি পাবো। খলেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম লাবলু বলেন,প্রতিবন্ধী মেয়েকে অপহরণ করেছিলো।প্রতিবন্ধীর মা আমার কাছে আসলে আমি শুনে নিজেই বিষয়টি থানায় জানিয়ে দেই। এব্যাপারে দায়িত্বে থাকা এস আই কিবরিয়াকে ফোন দিলে সে বলে পুরুষ ও মহিলা দুই জন আসামীকে গ্রেপ্তার করছি প্রতিবন্ধী মেয়েকেও উদ্ধার করেছি।এর সাথে অজ্ঞত আসামীদের কে খুঁজে পেলে তাদেরকে ও ছার দেয়া হবেনা।