রেখা মনি,রংপুর
রংপুরে ছেলের মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার মা মোছা: মতিউন নেছা)স্বামী মৃত. লুৎফর রহমান।
আমার একমাত্র ছেলে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা মামুনুর রহমান তার স্ত্রী
কর্তৃক হয়রানি ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে
মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।এমতাবস্থায় আমার একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আজ নিরুপায় হয়ে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি।প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,আপনারা সমাজের দর্পন আপনাদের লেখনির মাধ্যমে উঠে
আসে সমাজের অনেক সত্য-মিথ্যা ঘটনার প্রকৃত রহস্য। আমিও চাই আপনাদের মাধ্যমে আমার একমাত্র ছেলে মামুনুর রহমান এর উপর তার স্ত্রী মাফরুহা আক্তার ইতি কর্তৃক করা হয়রানি ও মিথ্যা মামলার সঠিক প্রকৃত
ঘটনা উম্মোচন করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
আপনাদের কাছে অবগত করছি যে, আমার একমাত্র ছেলে ব্যাংক কর্মকতা মামুনুর রহমান এর সাথে গত২৭/০৩/২০০৯খ্রি. গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার
পান্তাপাড়া গ্রামের সাবেক পুলিশ কর্মকতা মনছুর আলী মন্ডল এর তৃতীয় মেয়ে মাফরুহা আক্তার ইতির সাথে মহা
ধুমধামে বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই মামুনুর রহমানের স্ত্রী মাফরুহা আক্তার ইতির বেপরোয়া
চলাচল প্রকাশ পেতে থাকে। স্বামী ও পরিবারের কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের ইচ্ছেমত চলাফেরা করতে থাকে। আমার ছেলে কিছু বললেই মানসিক ও শারীরিক
নিযার্তনসহ ঝগড়া বিবাদ শুরু করে। চক্ষু লজ্জা আর পরিবারের কথা চিন্তা করে দিনের পর দিন তার স্ত্রীর এসব নির্যাতন-নিপীড়ন, হুমকি-ধামকি নীরবে সহ্য করে
যাচ্ছিল আমার ছেলে মামুনুর রহমান।
হঠাৎ একদিন আমার পুত্রবধু আমার ছেলে বা আমাদের কাউকে কিছু না জানিয়ে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় যাওয়ার পর প্রায় দেড় বছর স্বামী বা আমার পরিবারের কারো
সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখে নাই। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তার মান ভাঙাতে পারিনি। এমনকি আমার বৌমার পরিবারের লোকজনও মামুনের সাথে
যোগাযোগ করতে দেয় নাই। অনেক চেষ্টার পর আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে আবারও তারা ঘর সংসার শুরু করে।ভালোভাবে কিছুদিন সংসার করলেও ইতি বিভিন্ন সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারো অশান্তি শুরু করে দেয়।
এবার আমার গায়েও হাত দিতে দ্বিধাবোধ করে নাই।নানা অজুহাতে পরিবারের কাউকে কিছু না বলে বাপের বাড়ীতে চলে যেতেন, মাসের পর মাস বাপের বাড়িতে
অতিবাহিত করলেও স্বামীর খোঁজ খবর নিতেন না, আমরা খোঁজ খবর নিলেও আমাদের পাত্তা দিতো না।এমতাবস্থায় আমার ছেলে মামুনুর রহমান গত ২০১৩ সালের
১১ মে আমার বৌমা ইতিকে আনার জন্য তার শশুরবাড়ী গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার পান্তাপাড়া গেলে
আমার ছেলের শশুর ও শাশুরী, তার স্ত্রী ইতিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য মিলে মামুনকে অপমান করে সংসার করবেনা
মর্মে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।
এই পরিস্থিতিতে আমার ছেলে কোন উপায়ন্তর না পেয়ে গত ০৪/০৭/২০১৩ খ্রি. এ্যাডভোকেট মশিউর রহমান জজ কোর্ট রংপুরের মাধ্যমে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান
করেন। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়া পর মাফরুহা আক্তার ইতি পূনরায় তার স্বামীর সংসারে ফিরে আসে এবং সংসার শুরু করে। এভাবে দির্ঘ ৯ বছর পূর্বের মত বনিবনা না
থাকার মধ্যেও আমার ছেলে সংসার করাকালে গত ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে ঘর আলোকিত করে একটি
কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।এদিকে আমার বাড়িতে মামুনের শশুর বাড়ীর লোকজনের
আসা-যাওয়া চলতে থাকলেও তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের মেয়ে ইতির মাধ্যমে চাপ দিতে থাকে আমাকে
(মামুনের বিধবা মা)। আমাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। আমার ছেলেকে তাদের পরিকল্পনার কথা
জানালে মামুন তাদের কথায় রাজি না হওয়ায়
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সংসারে অশান্তি সৃষ্টি করে গত ২০/০৫/২০২০ইং রংপুর মেট্রো পলিটন কোতয়ালী থানায়
স্ত্রী ইতি মামুনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পরিকল্পনা মোতাবেক ডায়েরীর পরদিনই (২১/০৫/২০২০খ্রি.) সকাল ১১ টার দিকে মামুনের শশুর, শ্যালিকা ও চাচা শশুরের ছেলেসহ এসে মামুনের স্ত্রী সন্তানসহ ঘরের যাবতীয় মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে
পিতার বাড়ি গোবিন্দগঞ্জে চলে যান।
স্ত্রী ইতি পিতার বাড়ি চলে যাওয়ার পরও আমার ছেলে মামুন স্ত্রী সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় থেকে শশুরবাড়ির
সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তার স্ত্রী
ইতিকে গত ২২/০৬/২০২০ খ্রি. তারিখে কোর্ট
এফিডেভিট এর মাধ্যমে অবশেষে তালাক প্রদান করেন। এবং দেন মোহরের ২ লাখ ৫১ হাজার ১ টাকা মানি অডার্র
এর মাধ্যমে প্রদান করেন। এতে মামুনের শশুর বাড়ীর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ মিথ্যা মামলার হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার ছেলে গত
২৮/০৬/২০২০ খ্রি. রংপুর মেট্রো পলিটন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ,গত ০১/০৭/২০২০ ইং তারিখে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় আমার ছেলে মামুনুর রহমান, আমি
মোছা: মতিউন নেছা ও আমার মেয়ে ডা: ইফাত আরা জেরিনকে আসামী করে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নিযার্তন দমন (সং/০৩) আইনের পরিপন্থি; “বেসরকারী ক্লিনিকের ছাড়পত্র দিয়ে ১১(ক)/১১(খ)/১১(গ) ধারায়
একটি সাজানো মিথ্যা মামলা করেছেন। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নিযার্তন দমন (সং/০৩) আইনের ধারা-৩২ এর
(১) উপ-ধারায় বলা হয়েছেন এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের শিকার ব্যক্তির মেডিকেল পরীক্ষা সরকারী
হাসপাতালে কিংবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে স্বীকৃত কোন বেসরকারী হাসপাতালে সম্পন্ন করা যাইবে।সুপ্রিয় সাংবাদিক সমাজ,
সু নির্দিষ্ট আইন থাকা স্বত্ত্বেও কিভাবে একটি
বেসরকারী ক্লিনিকের ছাড়পত্র দিয়ে এ ধরণের একটি স্পর্শকাতর মামলা তদন্ত ছাড়াই রুজু হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম যে, ২০০০ সালের নারী ও শিশু
নিযার্তন দমন (সং/০৩) আইনের পরিপন্থি; কোনো “বে-সরকারী ক্লিনিকের ছাড়পত্র দিয়ে ১১ (ক)/১১(খ)/১১(গ)
ধারায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে শুধু হয়রানী করার জন্য-