রোস্তম আলী: রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
Facebook Twitter Instagram share
লকডাউনে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ করতে রংপুর জেলা মোটর শ্রমিকরা রংপুর নগরীর প্রবেশদ্বার মডার্ন মোড় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। তারা ঘোষণা দিয়েছেন লকডাউনের মধ্যে আন্তঃজেলা ও ঢাকাগামী বাস চলাচল না করলে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল করতে দেওয়া হবে না। শ্রমিকদের বাধার মুখে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
Surjodoy.com
পুলিশ জানায়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত মডার্ন মোড় এলাকা দিয়ে ঈদ করতে আসা রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার মানুষ ঢাকায় ফেরার জন্য মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারে ঢাকায় যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অর্ধশতাধিক গাড়ি সেখানে জড়ো হয়ে জনপ্রতি তিনগুণ ভাড়া নিয়ে নিচ্ছে–এমন খবর জানাজানি হলে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মোটর শ্রমিকরা এক জোট হয়ে মাইক্রেবাস ও প্রাইভেট কার চলাচলে বাধা দেন।
The Daily surjodoy
তারা যাত্রীদের গাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দেন। এ নিয়ে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কার ড্রাইভার-হেলপারদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় মোটর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পুরো মডার্ন মোড় এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে
The Daily surjodoy
মেট্রোপলিটান তাজহাট থানার ওসি
আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স মর্ডান মোড়ে গিয়ে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস চলাচল বন্ধ করে দেয়।
মোটর শ্রমিক নেতা মাহবুব অভিযোগ করেন, ‘সরকার লকডাউন ঘোষণা করে আন্তঃজেলা ও ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে আমরা হাজার হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছি। এমনি অবস্থায় মাইক্রোবাস আর প্রাইভেট কার প্রকাশ্যেই তিনগুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী তুলে রংপুর থেকে ঢাকায় যাতায়াত করছে।’
The Daily surjodoy
এদিকে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারের ড্রাইভার-হেলপাররা বলছেন, গাড়ি না চললে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে চলবেন কীভাবে?
তাজহাট থানার ওসি বলেন, ‘মোটর শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক। লকডাউনের সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বাস না চললে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কারও চলবে না। এসব গাড়ি যাত্রী নিয়ে চলাচল করে, সে কারণে আমরা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছি। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
Leave a Reply