স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বেপরোয়া চলাফেরায় রংপুরে বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ইতোমধ্যে রংপুর জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫০ জনে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে রংপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদ হাসান মৃধা। এতে সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় নগরীর ১১টি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে নগরীর জাহাজ কোম্পানি মোড়, জিএল রায় রোড, দেওয়ানবাড়ী রোড, হাড়িপাট্টি রোড, জেলা পরিষদ সুপার মার্কেট ও সিটি বাজারে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণকে আহবান জানানো হয়। এ সময় মোড়ে মোড়ে হ্যান্ড মাইকের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা প্রচারসহ নির্দেশনা অমান্যকারীদের সতর্ক করে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান চলাকালে বিকেল চারটার পর দোকানপাট খোলা রাখা, মুখে মাস্ক না থাকা ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী না রেখে ব্যবসা পরিচালনা করায় ১১ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে প্রায় ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। পরে তাদের সর্তক করে দিয়ে অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহামুদ হাসান মৃধা বলেন, শহরে বিভিন্ন শপিংমল, বাজার ও দোকানপাট সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে বিকেল চারটার পরও খোলা ছিলো। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যেসব উপকরণ দরকার, বেশিরভাগ দোকানে সেগুলো নেই। এজন্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে রংপুর এখন রেড জোনে আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়মিত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের ব্যাপারে আরো কঠোর হবে প্রশাসন।