রোস্তম আলী: রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
গত ২২ নভেম্বর-২০২১, সোমবার বেলা ১২টায় হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন, রংপুর জেলার উদ্যোগে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হরিজনদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ স্বীকৃতি প্রদান ও জাত-পাত এবং নিম্ন পেশার কারণে হরিজনদের প্রতি বৈষম্য করা চলবে না মর্মে এ সকল দাবিতে কাচারি বাজার চত্ত্বরে মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে হরিজন অধিকার আদায় সংগঠন, রংপুর জেলার সহ-সভাপতি রাজু বাসফোরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা লিটন বাসফোর, শবরন বাসফোর, সংগঠনের সভাপতি সুরেশ বাসফোর, সাধারণ সম্পাদক সাজু বাসফোর,সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাকিল বাসফোর প্রমুখ। বক্তারা বলেন ১৯৭১সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে ঢাকার মিরিনজিল্লা কলোনির দশজন হরিজন শহীদ হয়।তাদের অপরাধ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়, তথ্য দেয়া এবং অনেকের সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত হওয়া।২২নভেম্বর গভীর রাতে পাক-হানাদার বাহিনী মিরিনজিল্লা কলোনির মন্ডল সামুন্দ লাল,মহাবীর লাল,আনবার লাল,ঘসিটা দাস,খালবাল দাস,নান্দা লাল,লাল্লু দামানকার,ঈশ্বর লাল,নান্দু লাল ও সংকর দাসকে গভীর রাতে বাড়িতে চোখ বেধে নিয়ে যায়,পরবর্তীতে কয়েকদিন পর রায়ের বাজারের বধ্যভূমিতে মৃত্যুর সন্ধান পাওয়া যায়।এভাবেই দেশের চাঁদপুর,সিরাজগঞ্জসহ নাম না জানা অনেক জায়গায় অনেক হরিজন দেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছেন।মুক্তিযুদ্ধে জাতি-বর্ণ,ধর্ম নির্বিশেষে সঙ্গে সবার অংশগ্রহণ ছিল এটা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। কিন্তু আজও নিহত হরিজনদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ মর্যাদা দেয়া হয়নি।আবার স্বাধীনতার ৫০বছর পরও এই স্বাধীন দেশে জাত-পাত ও পেশার কারণে হরিজনদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে।বক্তারা দাবি জানান যে মুক্তিযুদ্ধে নিহত হরিজনদের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে এবং জাত-পাত ও পেশার কারণে হরিজনদের প্রতি বৈষম্য করা যাবে না।সমাবেশ শেষে র্যালি নিয়ে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন শহীদদের স্মরণ করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy