রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর :
রংপুরে স্ত্রী ডা.হৃদিতা সরকারের করা যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার ও তার পিতা সুধাংশু কুমার সরকার চন্দনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-০১ এর বিচারক।
আজ বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোস্তফা কামাল এই পরোয়ানা জারি করেন তা অবিলম্বে তামিল করার আদেশ দেন। এসময় আসামীরা অনুপস্থিত ছিলেন। আসামীদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলার বাজার পূর্ব গ্রামে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান, ৩০ লাখ টাকা যৌতুক না দেয়ায় শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে ডা.হৃদিতা সরকার স্বামী দেবাংশু সরকারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এ মামলা এর মধ্যে স্ত্রী ডা.হৃদিতা সরকারের স্বামী রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক দেবাংশু কুমার সরকার(৩২),ম্যাজিষ্ট্রের পিতা সুধাংশু কুমার সরকার চন্দন(৬০) ও ময়মনসিংহ জেলার গোলপুকুরপাড়া গ্রামের চন্দন দের ছেলে নিলয় দে সরকার (২৭),হালুয়াঘাট উপজেলার আকনপাড়া গ্রামের সুধীর কুমার সরকারের ছেলে রঞ্জন সরকার(৫০) নামে মামলা করা হয়েছে।
এই মামলাটি আদালতের আদেশে পিবিআই তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে এরমধ্যে বাদি নারাজি করেন। এর ফলে পিবিআই পুলিশ সুপারকে বুধবার সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যখ্যা দিতে বলেন।
এর পর আদালতে বিচারক তদন্তের বিষয়ে পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রংপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ দেবাংশু কুমার সরকার ও তার পিতা সুধাংশু কুমার সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তবে এই মামলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেকে বদলি করা হয়েছে। একই সাথে বাদির নারাজির আংশিক গ্রহন করেন।