রোস্তম আলী: রংপুর
রংপুরের তারাগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় হাজাজ মিয়া (৪২) নামে একজন দিনমজুর নিহত হয়েছে। ওই দুর্ঘটনায় বাসযাত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত হাজাজ মিয়া একই উপজেলার ঝাকুয়া পাড়ার মৃত সহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি সন্ধ্যায় বাজার করতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
আহতরা হলেন-তারাগঞ্জ চৌপথি এলাকার ফুয়াদ (৮৪), হোসেন আলী (৪০), ফাতেমা (৩৫), লালমনিরহাট কালীগঞ্জের জামাল (৩৫), একই উপজেলার বেলতলী এলাকার তমা (১৯), সৈয়দপুর ওয়াপদা মোড়ের সেকেন্দার (৩০) কেল্লাবাড়ী বালাপাড়ার তারা বানু (৫৫), ঘনিয়াপুরের বাবু (৪০) ।
এছাড়াও আরো দুই-তিন জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ঠাকুরগাঁওগামী এইচএপ্লাস পরিবহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে একটি থ্রি-হুইলার ওভারটেক করতে গিয়ে ওই থ্রি-হুইলারকে ধাক্কা দেয়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের একটি দোকানে ঢুকে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই একজন দিনমজুর পথচারী নিহত হয়। বাসের যাত্রীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক আহম্মদ ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রাত নয়টার পর বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক থেকে সরে গেলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, বাসটি থ্রি-হুইলারের সাথে ধাক্কা লেগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দোকানে ঢুকে গেলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর বাস চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে রংপুর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-বি) নূর-ই-জান্নাত সিফাত বলেন, ঘটনাস্থলে হাজাজ নামে একজন মারা যান।
আহত হয়েছেন ১০ জন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন বলেন, সেখানে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দুর্ঘটনা রোধে সড়ক বিভাজন (রোড ডিভাইডার) ও স্প্রীড ব্রেকার নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এই আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ জনতা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy