রংপুরের মিঠাপুকুরে প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে একটি পরিবারের বসত বাড়ি নগদ ৫ লক্ষ টাকা, ও ঘরের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঠাঁই গোজাবার জায়গা না থাকায় ওই পরিবারটি ৩ দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উপজেলার বুজরুক ঝালাই গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সূত্রে জানাযায়, রংপুররের মিঠাপুকুর উপজেলার বুজরুক ঝালাই গ্রামে মৃত মজিব উল্ল্যার ছেলে মহিদুল ইসলাম ও ভাতিজা সোহেলদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে একাধিক সংঘর্ষে মামলা হামলা হাজতবাসসহ উভয় পক্ষের প্রাং ৪ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেছে মর্মে জানাগেছে।
অভিযোগে বলা হয়, চাচা মহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন গত শুক্রবার গভীর রাতে ভাতিজা সোহেল রানার বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন চারিদেকে ছড়িয়ে পড়লে সোহেল রানার স্ত্রী নাজিরা বেগম তার ঘুমন্ত ৫ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে কোন রকম দৌড়ে আত্মরক্ষা করে। নাদিরা বেগমের আত্ম চিৎকারে লোক জন ছুটে আসলেও ততখনে তার বাড়ি ঘর, নগদ ৫ লক্ষ টাকা ও মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
গত দিন ধরে ওই পরিবারটির মাথা গোঁজাবার ঠায় না থাকায় খোলা আকাশের নীচে রান্না বান্না ও রাত্রি যাপন করছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় সোহেল রানা বাদী হয়ে রংপুর মিঠাপুকুর থানায় মহিদুল ও তার দুই ছেলে রানু, বাবু এবং স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম, সোহাগকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী তিথি বেগম জানান, আগুন এত দ্রুত দাউ দাউ করে জলছিল যে সেখান থেকে কোন মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
সোহেলের স্ত্রী নাজিরা বেগম বলেন, চাচা শ্বশুর মহিদুলের মিথ্যা মামলায় আমার দুই ভাশুর মঞ্জু ও জুয়েল দীর্ঘ দিন থেকে হাজতে আছেন। তার উপর আমাদের বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়ে আশ্রয় স্থল টুকু কেড়ে নিয়েছে মহিদুল গংরা।
এ ঘটনায় মহিদুল বলেন, আমাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তবে আমরা আগুন দেয়ার বিষয়ে কিছু জানিনা। আমাকে এবং আমার পরিবারকে ফাঁসাতে তারা নিজের ঘরে নিজে আগুন দিয়েছে। মিঠাপুকুর থানার ওসি জানান, ঘটনাটি জেনেছি তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।