রোস্তম আলী: রংপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রথম পর্যায়ে ভারত থেকে উপহার হিসাবে আসা ২০ লাখ ডোজ এবং বাণিজ্যিক চুক্তির ৫০ লাখ ডোজ আসা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করতে সারাদেশের ন্যায় সর্বাত্মক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ১০ ধরনের ব্যক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। যারা প্রথমে ভ্যাকসিন পাবে তাদের তালিকা তৈরির কাজ প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায়। তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মা, শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় ভ্যাকসিন বিষয়ক কর্মসূচি পরিচালিত হবে। প্রতিটি উপজেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের ৪ জন ও ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী ভ্যাকসিন প্রয়োগে কাজ করবে। ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা: আহাদ আলী জানান, ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও গুণগত মান রক্ষায় ফ্রিজিং ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন প্ল্যান অনুযায়ী প্রথম ধাপে রংপুর বিভাগের আট জেলায় ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯ জনকে টিকা প্রদান করা হবে। এর মধ্যে রংপুর জেলায় তিন লাখ ২২ জন, দিনাজপুরে তিন লাখ ১১ হাজার ৩৭৭ জন, কুড়িগ্রামে দুই লাখ ১৫ হাজার ৪৮৪ জন, লালমনিরহাটে এক লাখ ৩০ হাজার ৮০৪ জন, গাইবান্ধায় দুই লাখ ৪৭ হাজার ৭৬৪ জন, নীলফামারীতে এক লাখ ৯১ হাজার আটজন, পঞ্চগড়ে এক লাখ দুই হাজার ৮৪৮ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ জন রয়েছে। তিন রাউন্ডে এ জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন। এদিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা মোকাবেলায় জেলা, উপজেলা পর্যায়ে টিকা প্রদানের প্রস্তুতি নেওয়ায় রংপুরের সচেতন মহল সাধুবাদ জানাচ্ছে সরকারকে।