রুস্তম আলী রংপুর জেলা প্রতিনিধি:
রংপুরে হারাগাছে পুলিশের নির্যাতনে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হারাগাছ থানা ঘেরাও করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে থানার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি, রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এতে কমপক্ষে আটাশ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুরের হারাগাছ নতুন বাজার পাকার মাথা থেকে তাজুল ইসলাম নামের এক যুবককে মাদক ব্যবসায়ী সন্দেহে আটক করে পুলিশ। ঘটনাস্থলেই তার হাতে হ্যান্ডকাফ পরায় পুলিশ। এরপর ঘটনাস্থলেই পুলিশ তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং পুলিশি নির্যাতনে ওই যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা হারাগাছ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি, টিয়ারসেল, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে।েএ ঘটনাকে সামাল দিতে রংপুর থেকে আসা বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত পৌনে দশটা)পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতার বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন, সাহাবুল, মনতাজুরের দাবী কোন কারণ ছাড়াই তাজুল ইসলামকে মাদক ব্যবসায়ী বলে আটক করে। তার শরীর তল্লাশি করে কিছু না পেলেও তাকে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে মারধর শুরু করে। একটু পর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মারা যায়। এ ঘটনার জন্য দায়ী পুলিশদের গ্রেফতার করে বিচার দাবি করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, হারাগাছ থানার কতিপয় এসআই ও এএসআই নিরীহ মানুষদের অকারণে আটক করে মাদক ব্যবসায়ী বলে টাকা দাবি করেন। যারা টাকা দিতে চান না তাদের ধরে নিয়ে যান এবং নিষ্ঠুর নির্যাতন করেন।
এ ব্যাপারে জানতে নগরীর হারাগাছ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে যুবকের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা জানতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।