রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক;
রংপুরে স্বাস্থ্যের বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফজলুল হক। রংপুর মেডিকেল কলেজের অফিস সহায়ক পদে চাকরি নেন তিনি।
সরকারি চাকরি বিধি ভঙ্গ করে এই চেয়ারে বসলেও এর দায় পদোন্নতি বোর্ডের উপর চাপিয়ে তিনি বলছেন, ‘পদোন্নতি নিজে নেননি, দিয়েছে পদোন্নতি বোর্ড।’
সার্ভিস বুক অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ২৭ মে রংপুর মেডিকেল কলেজে অফিস সহায়ক পদে যোগ দেন ফজলুল হক। ২০০৪ সালের ১০ জুন অফিস এসিস্ট্যান্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর, ২০০৯ সালের ১ নভেম্বর স্টোরকিপার, ২০১২ সালের ৪ নভেম্বর হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে পদোন্নতি পান।
নন-মেডিকেল কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী আর কোনো পদন্নোতির সুযোগ না থাকলেও ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর একই প্রতিষ্ঠানের সচিবের চেয়ারে বসেন চলতি দায়িত্ব পেয়ে। এসময় কলেজটিতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
এরপর ২০১৯ সালের ৩ মার্চ অ্যাডমিনিস্টেটিভ অফিসার হিসাবে রংপুরের বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে বদলি হন।
পদোন্নতিতে বিধিমালা লঙ্ঘণ হয়ে থাকলে এর দায় তার নয়, বরং দায় পদোন্নতি বোর্ডের বলে মন্তব্য করেছেন ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘পদোন্নতি নিজে নেননি, দিয়েছে পদোন্নতি বোর্ড।’
এ বিষয়ে কথা বলতে নানাভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাকিউল ইসলামকে পাওয়া যায়নি।
তবে এই বিষয়টি অবগত হওয়ার পর মন্ত্রণালয়ে অবগত করেছেন বলে দাবি করে পুরো বিষয়টির তদন্ত এবং দোষী ব্যক্তির শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নূরন্নবী লাইজু।
সম্প্রতি ২০০৮ সালের স্বাস্থ্য বিভাগীয় নন-মেডিকেল নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী ১০ম গ্রেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে পদোন্নতির জন্য ১১তম গ্রেডের যোগ্য ফিডার কর্মচারীদের যে তালিকা করা হয়েছে, সেখানে ফজলুল হকের পদোন্নতি বিধি বহির্ভূত বলে মন্তব্য করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে তার ২০২০ সালের এসিআর না থাকার কথা ।