সাভারের আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় ব্যাবসায়ী কাজিমুদ্দিন কে গলাকেটে হত্যা কোন রাজনৈতিক ইস্যু নয়,পারিবারিক ও জমিজমা বিরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব।
শুক্রবার ( ০৯ ই ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে (০৮ ই ফেব্রুয়ারি ) আশুলিয়া থেকে মোঃ আব্দুল লতিফ নামের এক যুবক, ব্যাবসায়ী কাজিমুদ্দিন কে গলাকেটে হত্যা দায়ে আশুলিয়া থেকে গ্ৰেফতার করে র্যাব-৪। গ্ৰেফতারকৃত আব্দুল লতিফ হলেন ভিকটিম কাজিমুদ্দিনের আপন বড় ভাইয়ের ছেলে। উদ্ধার করা হয় ভিকটিমের ব্যবহৃত ০১টি মোবাইল ফোন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।
গত (০৭ ফেব্রুয়ারি) তারিখ সকাল আনুমানিক ১০০০ ঘটিকায় ঢাকার আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরী ফার্মের বিশ্রাম রুম থেকে ফার্মটির স্বত্বাধিকারী কাজিমুদ্দিন (৫০) এর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ভিকটিমের আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় কিছু ব্যক্তিবর্গ উক্ত হত্যাকান্ডটিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে ধারণা করলে,বিভিন্ন গণমাধ্যমে এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বলে খবর প্রকাশিত হয়। উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। নৃশংস এই হত্যাকান্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি করে।
উক্ত ক্লুলেস হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজদারী বৃদ্ধি করে র্যাব।
তিনি সাংবাদিকদের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত লতিফ ভিকটিমের বড় ভাইয়ের ছেলে। গ্রেফতারকৃত লতিফের বাবা মৃত্যুবরণ করার পর থেকেই সে তার চাচাদের সাথে বসবাস করতো। গ্রেফতারকৃত লতিফের পৈত্রিক সম্পত্তি অংশীদারিত্ব নিয়ে ভিকটিম কাজিমুদ্দিন এর সাথে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলছিল এবং প্রায় সময় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হতো বলে জানা যায়।
গত (০৬ ফেব্রয়ারি ) তারিখ রাতে ভিকটিম কাজিমুদ্দিনের নিজস্ব মালিকানাধীন ডেইরী ফার্মে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে দেখতে আসে। ডেইরী ফার্মটি ভিকটিমের বাসার পাশে হওয়ায় ভিকটিম তার স্ত্রী ও সন্তানকে বাসায় পাঠিয়ে দেন এবং তিনি ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুমে রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করে। পরবর্তীতে মধ্য রাতে গ্রেফতারকৃত লতিফ ভিকটিমের ডেইরী ফার্মে এসে তার পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে কথা বললে ভিকটিমের সাথে তার বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত লতিফ উত্তেজিত হলে ক্রোধের বশবতি হয়ে রুমে থাকা বটি নিয়ে ভিকটিমের গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করে। গ্রেফতারকৃত লতিফ হত্যার ঘটনাটি যেন কেউ বুঝতে না পারে সেজন্য ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে ভিকটিমের রুমের দরজা তালা দিয়ে এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত বটি পাশের রুমে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান,গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy