আবুল হাশেমঃ
রাজশাহীর শহর থেকে ৪৮ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণে পদ্মা নদীর তীর ঘেষে গড়ে ওঠেছে বাঘা জাদুঘর। এই জাদুঘরটিতে দর্শনার্থীদের মন আকর্ষণ করবার মতো রয়েছে নানা রকম মোঘল আমলের পুরাকীর্তি সহ মাটির বহু পুরাতন তৈজসপত্র। বাঘা জাদুঘরে কর্মরত সহকারী কাস্টোডিয়ানের হাতে
প্রত্নবস্তু হস্তান্তর করেছেন বাঘার কৃতি সন্তান খন্দকার ডেন্টাল কেয়ারের ডা: খন্দকার মোহাইমিনুর রহমান (মেয়র)। তিনি উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের মৃত খন্দকার আব্দুল মালেকের ছেলে। তিনি বাঘা থানার মোড় সংলগ্ন খন্দকার ডেন্টাল কেয়ার প্রতিষ্ঠা করে আধুনিক চিকিৎসা সহ ডেন্টাল সেবা দিয়ে আসছে।
ডা: মোহাইমেনুর রহমান মেয়র জানান,আমার বাড়ি সংস্কার কাজের সময় একটি কালো রং এর মৃৎ পাত্রের বড় খন্ডাংশ এবং একটি ছোট তৈল প্রদীপ পাওয়া যায় যা অনেক প্রাচীন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এই প্রত্নবস্তু দুটি বাঘার প্রাচীন জনবসতির চিহ্ন হতে পারে বলে মনে করি। একজন ঐতিহ্য সচেতন নাগরিক হিসেবে এটি আমি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অধীন বাঘা জাদুঘরে গত সোমবার হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে বাঘা জাদুঘরের সহকারী কাস্টোডিয়ান দবির হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে বাঘা জাদুঘরে গ্যালারীতে বহু পুরাতন কিছু মুদ্রা যুক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ডা. মোহাইমেনুর রহমান মেয়র মৃৎ পাত্রের বড় খন্ডাংশ এবং একটি ছোট তৈল প্রদীপ হস্তান্তর করেছে। সচেতন মানুষ হিসাবে তিনি অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার। তবে উপজেলার মানুষ সচেতন হলে জাদুঘরে বাড়বে ঐতিহ্যের নিদর্শন, বাড়বে দর্শনার্থী।
প্রতিষ্ঠাতা : মেজর (অব) মোঃ মোদাচ্ছের হোসাইন, সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি: বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: তৌহিদ আহমেদে রেজা, বার্তা সম্পাদক: আসমা আহমেদ কর্তৃক ৫৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ সৈয়দ ভবন, ঢাকা-১২১৩ থেকে সম্পাদিত ও প্রকাশিত
© All rights reserved 2020 Daily Surjodoy