কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :
নওগাঁর রাণীনগরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ৪টি জীবাণুনাশক ট্যানেল স্থাপনের কিছু দিনের মাথায় টেকনিশিয়ান না থাকা, কারিগরি ত্রুটি ও প্রয়োজনীয় মেডিসিনের অভাবে প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যায়ে স্থাপিত চারটি জীবাণুনাশক ট্যানেল অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
উপজেলা সদরে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ট্যানেলগুলো স্থাপনের কিছু দিনের মাথায় বিকল হওয়ার কারণে করোনাকালীন মহামারির এই সময়ে জনগণের কোন কাজে লাগছেনা। দিন দিন ভাইরাসের কারণে মানুষ আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চললেও এই ট্যানেলগুলো সচল করার কোন উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। এমন কি উপজেলা প্রশাসনের কোন দপ্তর এর রক্ষনাবেক্ষনের দায় নিতেও নারাজ।
জানা গেছে, গত বছরের ৮ মার্চ থেকে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই ভাইরাস দিন দিন শক্তিশালী হওয়ায় মানুষের আক্রান্ত সংখ্য বেড়ে যাওয়ার কারণে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের করোনা ভাইরাস
প্রতিরোধের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ লাখ টাকা ব্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর, উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের প্রধান গেট ও রাণীনগর থানা ভবনসহ মোট ৪টি জীবাণুনাশক ট্যানেল উপজেলা প্রকৌশলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ট্যানেলগুলো স্থাপন করা হয়। উপজেলার এই ৩টি জায়গা খুবই জন গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিদিন বিভিন্ন সেবা নিতে শত শত মানুষ এই অফিসগুলোতে আসে। যে কোন মানুষ এই ট্যানেলের মধ্যে দিয়ে যাবার সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওই ব্যক্তির শরীরে তরল জীবানুনাশক স্প্রে লাগতো।
কিন্তু কয়েক দিনের মাথায় সঠিক নজরদারির অভাবে ট্যানেলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সময়ে আবার নতুন করে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারন করলেও জনস্বার্থে এই ট্যানেলগুলো চালু করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায়
সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও এই ট্যানেলগুলো চালু করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করায় সরকারের আর্থিক ক্ষতিসহ জনগণের কোন কাজে লাগছেনা। স্থানীয়রা বলছে, এই রকম মহামারি থেকে রক্ষার জন্য জনস্বার্থে ট্যানেলগুলো সচল করা একান্ত জরুরী।
উপজেলা নির্বাহী আফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, এই ট্যানেলগুলো কিভাবে চালু করা যায় শিঘ্রই এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।#
Leave a Reply